ক্যাচ মিস ম্যাচ মিস-হতাশ টাইগারদের বাদ দিন!
বিশেষ প্রতিনিধি : ক্যাচ মিস ম্যাচ মিস-হতাশ টাইগারদের বাদ দিন! ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বেশ কিছু ক্লোজ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। তীরে এসে তরী ভেড়াতে না পারার কষ্টটা তাই টাইগারদের ভালোই জানা আছে। যদিও মাশরাফির নেতৃত্বে গত দুই বছরে শেষ দিকের স্নায়ুচাপ জয় করে ম্যাচ জিততে ছিল বাংলাদেশ।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না টাইগাররা। টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে ২১ রানের পরাজয় হতাশায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক মাশরাফি অকপটে বলছেন,এমন হার মেনে নেওয়া কঠিন।
নিজের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের হতাশার হারগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গেও আমরা খুব ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। আজকের ম্যাচটিও হতাশার। ৩০০ রান চেজ করে জিততে পারলে সব দিক থেকে ভালো অবস্থানে থাকতে পারতাম।
ম্যাচটি জিততে পারলে আমরা ১-০তে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেতাম। সুযোগটা নিতে পারেনি। হারতো হারই। এই ধরনের হার মেনে নেওয়া খুব কঠিন।’সাকিব আউট হওয়ার পর ৫১ বলে ৩৯ রানের সহজ সমীকরণ পাড়ি দিতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটাই হাতছাড়া হলো টাইগারদের।
এত কাছে গিয়ে হারা প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘এই ম্যাচটা অবশ্য জেতা উচিত ছিল আমাদের। ৫২ বলে ৩৯ লাগবে, ৬ উইকেট হাতে। ওখান থেকে ম্যাচ হারা অবশ্যই হতাশার। আরও দেখে শুনে খেলা উচিত ছিল জানিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘হয়তোবা আরও একটু দেখে-শুনে খেলে। শেষ দুই ওভারে যদি ১৫-১৬ লাগত।
আমরা চেষ্টা করতে পারতাম। কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এর আগেও এমন হয়েছে। কিছুদিন ধরেই এমন হচ্ছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে, আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’এমন হারে গোটা দলই হতাশ। মাশরাফি বলছেন, ‘এটা যে কারো জায়গা থেকেই হতাশার। এটা কারো একার ব্যাপার না। পুরো দলই এখন আপসেট।
একটা পর্যায়ে যখন ৭-৮ করে লাগত তখন আমরা এভাবে ব্যাটিং করতে পারতাম। কিন্তু যখন আমাদের ৫ করে লাগবে। তখন আমাদের আরো ধৈর্যশীল ব্যাটিং করা লাগত। এটা আসলে সব সময় একই রকম যায় না। এখানে হয়তোবা কিছু ভালো জিনিস হয়েছে। এগুলো পরের ম্যাচে কাজে লাগতে পারলে সামনে হয়তো ভালো কিছুই হবে।’
শেষ দিকে এসে ব্যাটিং ধস হচ্ছে। মাশরাফির চোখে তা হচ্ছে কারণ বাজে শট খেলছেন ব্যাটসম্যানরা। তিনি বলেন, ‘এটা ব্যাখ্যা করা আসলে কঠিন। আস্কিং রেট যদি হয় ৪-৫ তাহলে তখন বিগ শটের প্রয়োজন হয় না। যখন আস্কিং রেট ৮-এর বেশি থাকে তখন হয়তো বিগ শট খেলতে হয়। আজকে তো ওটা দরকার ছিল না। ওদের একটা পর্যায়ে ফিল্ডিং ক্লোজ করে রাখতে হয়েছিল। কারন সিঙ্গেল আটকানোর প্রয়োজন ছিল ওদের। ওই মুহূর্তে আমরা অনেক বাজে শট খেলে আউট হয়েছি।’