ক্যামিক্যাল সন্ত্রাস-তুরুপের তাস ছিল নিশা
কুমিল্লা প্রতিনিধি : এবার ক্যামিক্যাল সন্ত্রাসী তৎপরতায় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিশা। তার মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা রহস্য। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তরল বিস্ফোরকে দগ্ধ হয় নিশা। ঘটনার ১৩ দিন পর মারা যায় সে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক ইসলামি ছাত্রী সংস্থার কর্মীকে খুঁজছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে পুলিশ তাকে আসামী করে মামলাও করেছে ।কিন্তু নিশা মারা যাওযায় অনেক রহস্য উদঘাটন কিছুটা ভাটা পড়বে বলে আশংকা করছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা বলছেন, ক্যামিক্যাল সন্ত্রাসের তুরুপের তাস ছিল নিশা। তাকে ব্যবহার করার আগেই বিস্ফোরণ ঘটে যাওযায় রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। বিস্ফোরণে নিশার শরীর ৪১ ভাগ পুড়ে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত ছাত্রী অর্থনীতি বিভাগের নবম বেচের শিক্ষার্থী।সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকার পাল জানান, ওই ছাত্রীর শরীরের ৪১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
২৩ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সালমানপুর এলাকায় ‘হেভেন’ ছাত্রী নিবাসে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটলে দগ্ধ হন নিশা। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘উচ্চ ক্ষমতার তরল বিস্ফোরক’ থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।
বিস্ফোরণের ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা হয়। যাতে নিশাসহ তিন ছাত্রীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। নিশা ছাড়া বাকি দুজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের ছাত্রী নূর নাহার ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অষ্টম ব্যাচের ছাত্রী মর্জিনা আক্তার।
নিশাসহ তিনজনই জামায়াতে ইসলামি ছাত্রী সংগঠন ইসলামি ছাত্রীসংস্থার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের ঘরে সংগঠনের বইপত্র পাওয়া গেছে বলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন সে সময় জানিয়েছিলেন।