কোহিনূর কেমিক্যালের এমডির নির্দেশমত ভুয়া কাগজ তৈরী না করায় আইনজীবী গুম
এস রহমান : কোহিনূর কেমিক্যালের এমডির নির্দেশমত ভুয়া কাগজ তৈরী না করায় আইনজীবী
এক আইনজীবীকে গুম করা হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয়েছে। ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ও কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পলাশ কুমার রায়কে গুম করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার অপহৃত আইনজীবীর মা মীরা রানী বাদী হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দেন।
মামলায় দুই আসামি হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম ও আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান। এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম এর অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার তথ্য জানিয়ে মীরা রানী বলেন, তাঁর ছেলে আদৌ বেঁচে আছেন কি না, তা তিনি জানেন না। জীবিত বা মৃত যেভাবেই হোক না কেন, তিনি তাঁর ছেলেকে ফেরত চান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, অ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায় ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর কোহিনূর কেমিক্যালে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ (লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স) হিসেবে যোগদান করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেজাউল করিম পলাশ কুমারকে সাত বিঘা জমির নামজারির ভুয়া কাগজ তৈরি করতে বললে তাঁদের মধ্যে এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঋণ উত্তোলনের জন্য নামজারির ভুয়া কাগজ তৈরি করতে না পারলে পলাশকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন রেজাউল। পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পলাশ চাকরি ছেড়ে দেন।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, পলাশ ইতিমধ্যে কোম্পানির বিভিন্ন গোপন বিষয় জেনে যাওয়ায় আসামিরা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরও নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে।
এ কারণে গত ১৩ মার্চ তেজগাঁও জোনের পুলিশের উপকমিশনার বরাবর বিষয়টি অবগত করে একটি দরখাস্ত করা হয়।এরপর গত ১৬ মার্চ উপকমিশনার দুপক্ষকে হাজির হতে নোটিশ দেন। নোটিশ পাওয়ার পর থেকে আসামিরা পলাশকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে শুরু করে।
আসামিদের হুমকির কারণে গত ৩০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার উদ্দেশে বের হলে পলাশ রায় আর বাসায় ফেরেননি।
বাদীর ধারণা, আসামিরা কোম্পানির গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাঁর ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছে।