কোহিনুর কেমিকেলের এমডিকে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাব জালে ধরা আইনজীবী পলাশ
এস রহমান : কোহিনুর কেমিকেলের এমডি রেজাউল করিমকে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাব জালে ধরা পড়ল আইনজীবী পলাশ। র্যাব বলেছে, কোহিনুর কেমিকেলের এমডিকে ফাঁসাতে গিয়ে তাঁদের গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে সেই বিতর্কিত আইনজীবী কথিত অপহৃত পলাশ।
সূত্র মতে, অবশেষে পাকরাও হলো কোহিনুর কেমিকেলসের আইনজীবী পলাশ কুমার রায়। তাকে অপহরণের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিল পলাশের মা মীরা রানী।
মামলায় তিনি কোহিনূর কেমিকেলের এমডির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনেন। ঘটনা পর্যায়ে র্যাব তদন্তে নেমে পলাশের নানা দুর্নীতি জালিয়াতি উদঘাটন করে একপর্যায়ে তাকে তার বোনের বাসায় আত্মগোপনে থাকাঅবস্থায় পাকরাও করতে সক্ষম হয়।
এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কোহিনুর কেমিকেলসের আইনজীবী পলাশ কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মনিপুরি পাড়ায় বোনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, পলাশকে অপহরণের অভিযোগে কয়েকদিন আগে তার মা কোহিনুরের এমডি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করে। কিন্তু আসলে এই আইনজীবী ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ’ করে নিজেই ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কোম্পানির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পলাশের কাছে রয়েছে। বিভিন্ন পাওনাদার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য তিনি ৩১ লাখ ৭ হাজার টাকা কোহিনূর কেমিকেলস থেকে নেন। কিন্তু ওই হিসাবে গড়মিল পাওয়া যায়।”
গত ২৩ মার্চ কোম্পানির অর্থ ও দলিল বুঝিয়ে দিতে পলাশকে উকিল নোটিস দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, জবাব না পেয়ে ৩১ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে কোহিনূর কর্তৃপক্ষ।
তেজগাঁও থানার ওসি মাযহারুল ইসলাম বলেন, পলাশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার মা মীরা রানী থানায় একটি জিডি করেন। তা ছাড়া অপহরণের অভিযোগ এনে তিনি আদালতে একটি আবেদনও করেন।তিনি বলেন, ওই মামলার আবেদন থানায় এলেও পুলিশ এখনো তা এজাহার হিসাবে নথিভুক্ত করেনি। পলাশের নামে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।