কোরবানির হাট ক্রেতার দখলে-ব্যবসায়ীর মাথায় হাত
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে চলছে শেষ সময়ের বিকিকিনি। রয়েছে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল। রয়েছেন ক্রেতাও। তবে হাট রয়েছে ক্রেতাদের দখলে। শেষ সময়ে ছোট ও মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা বেশি। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কয়েকটি হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম নাগালের মধ্যে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, গত দুই দিনের তুলনায় আজ বাজার বেশ মন্দা। বিশেষ করে, বড় আকারের গরু নিয়ে এক প্রকার বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
ঢাকার পশুর হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম আগারগাঁও হাট। হাট কর্তৃপক্ষের মতে, এবার পর্যাপ্ত গরু উঠেছে এ হাটে। এখনো পর্যাপ্ত পশুও রয়েছে। আর দামও ভালো।
সন্ধ্যায় এ হাটে কথা হয় ব্যবসায়ী আবুল কালামের সঙ্গে। ভাড়াবাড়িতে থাকেন। তাই আগে না কিনে কোরবানির আগের দিন (আজ) গরু কিনতে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ গরুর দাম হাতের নাগালে। অনেক দেখেশুনে ৪১ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন এই ব্যবসায়ী।
এই হাটে কথা হয় কেরানীগঞ্জের বিক্রেতা শফি আলম ঢালীর সঙ্গে। তিনি জানান, গতকাল শনিবার ৪৫টি বড় আকারের গরু এনেছেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র একটি গরু বিক্রি করেছেন। তাঁর প্রতিটি গরুর দাম ৭৫ হাজারের ওপরে। গরুগুলো নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন বলে জানালেন তিনি।
রিপন পাইক নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, তিনি ২২টি মাঝারি আকারের গরু এনেছেন। ২১টি বিক্রি হয়েছে। মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান তিনি।
মনোয়ার হোসেন নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আজ বাজার একেবারেই নেই। গত দুই দিনের তুলনায় আজ প্রতিটি গরু ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনও বললেন একই কথা।
এ দিকে গরুর পাশাপাশি ছাগলও বেশ বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনের ফুটপাতে বসেছে ছাগলের হাট। সেখানেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম দেখা যায়। বিক্রেতারা আকারভেদে প্রতিটি খাসির দাম পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন। তবে কেনার ক্ষেত্রে দাম নিয়ে ক্রেতারা বেশ সংযত। প্রায় সবারই বক্তব্য, এবার ছাগলের দাম তুলনামূলক অনেক কম।