‘কোন্দলে জয় যেন হাতছাড়া না হয়’
ফ্রান্স থেকে অমিত হাসান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলীয় কোন্দলে আমাদের জয় যেন হাতছাড়া না হয়। আগামী নির্বাচনের আগেই এজন্য সকলকে সাবধান হতে হবে। দলের মধ্যে বিভক্তি ও কোন্দল নিয়ে ফ্রান্সে গিয়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আশঙ্কা এই কোন্দলের সুযোগ নিতে পারে বিরোধী পক্ষ ও চক্রান্তকারীরা।
প্ল্যানেট ওয়ান সামিটে যোগ দিতে ফ্রান্সের প্যারিস সফরে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এই সংবর্ধনা দেয় ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশিরা।শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ আমাদের পক্ষে। ভোট দেবার জন্য প্রস্তুত, ভোট দেবে। কেউ যেন এখানে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে। নিজেদের মধ্যে বিভক্তি থাকলে সেখান থেকে ষড়যন্ত্র ঢুকতে পারে।…ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রেই কিছু করতে পারবে না।’
ভেদাভেদ ভুলে সরকারের উন্নয়ন সবার কাছে তুলে ধরার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘ইলেকশনে আমাদের জয়ী হতে হবে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের ভোটে আমরা জয়ী হবো। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।”বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা শুরু থেকেই সক্রিয় জানিয় পদ্মা সেতু প্রকল্পে ড. মুহম্মদ ইউনুস বাধা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক কখনো এ কাজ করতে পারে না।
বর্তমান সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের আর এক বছরের মতো বাকি আছে। এই সময়ে হাতে নেয়া নানা প্রকল্প শেষ করবে সরকার। ক্ষমতায় থাকাকালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জিয়া পরিবার অর্থ পাচার করেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিপুল পরিমাণ সম্পদ ধরা পড়েছে।সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিএনপি জামায়াতের সহিংস আন্দোলনেরও কঠোর সমালোচনা করেন। তারা যেন আবার ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সে দিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌছালে নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু শ্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।এ সময় ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও উপস্থিত ছিলেন।