• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কোটা বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ৯:২৬ পিএম, ২ জুলাই ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৭ বার


আজ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ডাক-

 

ঢাবি প্রতিনিধি : ফের কোটা বাতিলে বিক্ষোভ হচ্ছে। এবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে আদালত ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে।
এনিয়ে ৫ জুন হাইকোর্ট রায় দেন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ।

এর জের ধরে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে একই দাবিতে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে।মঙ্গলবার কোটা বাতিলের দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা করেছে। বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই ঘোষণা দেন তারা। এর আগে বেলা আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-ঢাকা কলেজ-সায়েন্সল্যাব হয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় সরকার। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ছাত্ররা কোটা ব্যবস্থা চায় না। তারা আন্দোলন করেছে। ফলে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আর আলোচনা করার বা হা-হুতাশ করার কিছু নেই।
তবে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে কেন ওই ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ওই রুলের বিষয়ে শুনানি শেষে গেল ৫ জুন হাইকোর্ট রায় দেন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ।