• মঙ্গলবার , ১৩ মে ২০২৫

কোকোর মৃত্যু:খালেদার গেট বন্ধ-ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী.একান্তে অশ্রুপাতে খালেদা.কাল মালয়েশিয়ায় জানাযা


প্রকাশিত: ১০:২১ পিএম, ২৪ জানুয়ারী ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

 

PM_Khaleda-Zia-Gulshan-Office-www.jatirkhantha.com.bdশফিক আজিজ.ঢাকা:
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে তাঁর শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে গেট থেকে ফিরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছায়। তবে কার্যালয়ের প্রধান ফটকটি ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সেখানে আট মিনিট অপেক্ষা করার পর ফিরে যান তিনি।

দরজা বন্ধ করে রাখা ভদ্রজনোচিত নয়.

প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পর তাঁর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এ​ভাবে দরজা বন্ধ করে রাখা ভদ্রজনোচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী একজন মা হিসেবে সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।

খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে.

এর কয়েক মিনিট আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, শোকাহত খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আসার ইচ্ছাপোষণ করলেও ‘অসুস্থতার’ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার সুস্থতা সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাঁকে সমবেদনা জানাতে যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়। সেই অনুয়ায়ী গুলশানে কঠোর নিরপাত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

khalada jia-www.jatirkhantha.com.bdএকান্তে অশ্রুপাতে খালেদা.

ছেলে হারানোর শোকে নির্বাক–মূহ্যমান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নিজের ঘরে কবাট বন্ধ করে একান্তে অশ্রুপাত করছেন তিনি। বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করছেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, আজ শনিবার বেলা আড়াইটার সময় খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ এসকান্দরের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ ও শামীম এসকান্দরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা খালেদা জিয়াকে তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদ দেন। তাঁরা বলেছেন, দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে নির্বাক হয়ে যান খালেদা জিয়া। পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিন্তু কোনো কথা বলতে পারেননি। এর পর থেকে তিনি তাঁর কক্ষে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনার ঘরের দরজা বন্ধ। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে গুলশানের কার্যালয়ে গেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এসকান্দর, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কোকোকে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

tarek-koko-khalada-www.jatirkhantha.com.bdমালয়েশিয়ায় কোকোর প্রথম জানাজা.

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম জানাজা কাল রোববার বাদ জোহর মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নাগারায় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।শামসুদ্দিন দিদার জানান, কোকোর জানাজার পর মরদেহ বাংলাদেশে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে, ছোট ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা.

আরাফাত রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গেছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ অনেকে।এদিকে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রকে নিয়ে আসা হয়েছে।