কে লুট করলো বিএনপি নেতা নাসিরের রিভলবার-রাইফেল
সাইফুল বারী মাসুম : কে লুট করলো বিএনপি নেতা নাসিরের রিভলবার-রাইফেল? এনিয়ে পুরো সুনামগঞ্জে তোলপাড় চলছে। পুলিশ বলছে পুরো ঘটনা রহস্যজনক। ঘটনার চার দিন পরও উদ্ধার হয়নি আগ্নেয়াস্ত্র দুটি। পুলিশ রহস্য উদঘাটনে গঠন করেছে তদন্ত কমিটি।
পুলিশ বলছে, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরীর বাসা থেকে একটি রিভলবার ও একটি রাইফেল খোয়া গেছে বলে থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বুধবার বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জনা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোববার মধ্যরাতে জেলার দিরাইয়ের হাসপাতাল রোডের বাসার আলমিরা থেকে ওই দুটি আগ্নেয়াস্ত্র দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড়ও শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার গঠন করা হয়েছে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি। আগামী ৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) তাপস রঞ্জন ঘোষ, ডিআইও ওয়ান আনোয়ার হোসেন মৃধা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি নাজিম উদ্দিন।
সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরীর দিরাইয়ের বাসা থেকে গত ১ জানুয়ারি রোববার মধ্যরাতে আলমিরা থেকে লাইসেন্সধারী একটি রিভলবার, একটি রাইফেল ও বেশ কিছু গুলি দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়। ওই রাতেই সাবেক সংসদ সদস্যের সহোদর মঈনউদ্দিন চৌধুরী মাসুক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার দিরাই থানার ওসি মো. আবদুল জলিল বলেন, পুরো ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। আলমিরার ওপরে চাবি রাখা ছিল, দুর্বত্তরা সাবেক সংসদ সদস্যের তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বন্দুকটি রেখে অপর দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন শুনছি গুলিও নাকি নিয়ে গেছে, পুলিশ চেষ্টা করছে খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাছির উদ্দিন চৌধুরীর বাসা থেকে খোয়া যাওয়া দুটি অস্ত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত, রক্ষণাবেক্ষণ ও এই অস্ত্রগুলোর সার্বিক খোঁজখবর নেয়ার বিষয়ে দিরাই থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করবেন ওই কমিটি।
এ ব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী টেলিফোনে বলেন, ঘটনার রাতে আমি সুনামগঞ্জ ছিলাম। আমার শয়নকক্ষের আরমিরা থেকে দুর্বৃত্তরা পাকিস্তানের তৈরি একটি রিভলবার ও জার্মানীর তৈরি অপর একটি রাইফেলসহ বেশ কিছু গুলি নিয়ে গেছে।
কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন, আপাতত এ বিষয়ে কোনো কিছুই ধারণা করতে পারছি না। কীভাবে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি হতভম্ব।