কৃষিব্যাংকে লাখে ১০ ঘুষ নিতে গিয়ে-
স্টাফ রিপোর্টার : কৃষিব্যাংকে লাখে ১০ ঘুষ নিতে গিয়ে- পাকরাও হয়েছে ঋণ কর্মকর্তা মো. হাফিজ উল্যা। ঘটনাটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর শাখায় ঘটেছে। জানা গেছে, ঋণ কর্মকর্তা মো. হাফিজ উল্যা ঋণ পাইয়ে দিতে গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নেন। ঘুষের হার দশে এক হাজার। সে হিসেবে দাবি দাঁড়ায় লাখে ১০ হাজার টাকা।
এক গ্রাহকের কাছ থেকে এমনই ঘুষ নেয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। ক্যালকুলেটরে গুণে এই ঘুষ নেবেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, অঙ্ক কষে ঘুষ খাওয়া হলো না তার। তার আগে ধরা পড়েছেন দুদকের জালে।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠ কে জানায়, আজ বেলা আড়াইটার দিকে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. তালেবুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশনের একটি বিশেষ দলের সদস্যরা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর শাখার ঋণ কর্মকর্তা মো. হাফিজ উল্যা এবং একই ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী মো. আহসান উল্লাহকে ঘুষসহ গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার মো. মাহামুদুল হাসান (তারেক) ৬-৭ মাস আগে কৃষি ব্যাংকের কাদিরপুর শাখা থেকে ৭০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ গ্রহণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে অতিরিক্ত ঋণের প্রয়োজনে তিনি ঋণ কর্মকর্তা মো. হাফিজ উল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাফিজ উল্যা আগের ঋণের সমুদয় দায় পরিশোধ করার পরামর্শ দেন। কথামাফিক জানুয়ারি মাসেই আগের ঋণের সমুদয় টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে তিনি নতুন ঋণ প্রদানের অনুরোধ জানালে হাফিজ উল্যা প্রতি ১০ হাজার টাকার ঋণের বিপরীতে এক হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন।
অর্থাৎ গ্রাহক মো. মাহমুদুল হাসানের ৮০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে হাফিজ উল্যা ৮ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এই টাকা না দিলে ঋণ দেয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন। মো. মাহামুদুল হাসান (তারেক) বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করলে দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে ফাঁদ মামলা পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করে।
কমিশনের বিশেষ টিমের সদস্যরা আজ বেলা ১২টা থেকে কৃষি ব্যাংকের কাদিরপুর শাখার চারিদিকে ওৎ পেতে থাকেন। যখন বেলা ২টা ২৫ মিনিট, তখন ঋণ কর্মকর্তা মো. হাফিজ উল্যাহ একই অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী মো. আহছান উল্ল্যাহর মাধ্যমে মাহমুদুলের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিচ্ছিলেন, ঠিক সেসময় দুদক টিমের সদস্যরা তাদের ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করেন।এ বিষয়ে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।