‘কুলাঙ্গার তারেক লন্ডনে-তাই টিউলিপ হত্যার হুমকি পাচ্ছে’
বিশেষ প্রতিনিধি : একটা কুলাঙ্গার তারেক লন্ডনে বসে, তাই টিউলিপ হত্যার হুমকি পেতে হচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিককে সম্প্রতি হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লন্ডনে এক কুলাঙ্গার বসে আছে। সে ওখানে যাওয়ার পর টিউলিপ হুমকি পাচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লন্ডনে এক কুলাঙ্গার বসে আছে। ব্রিটিশ সরকার কেন তাকে আশ্রয় দিয়েছে জানি না। সে ওখানে যাওয়ার পর টিউলিপ হুমকি পাচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, টিউলিপকে দেওয়া হুমকিতে বলা হয়েছে ‘তোর নানাকে হত্যা করেছি। তোকে আর তোর মা-খালাকেও হত্যা করবো।’ এই হলো হুমকির ভাষা। যে হুমকি শুনে বিএনপি নেত্রীর সেই ‘হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ চাই’ হুমকির কথা মনে পড়ে যায়। হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে।
যাদের চরিত্র মানুষ হত্যা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জড়িয়ে বিবিসির একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, কিছু ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হচ্ছে। বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক মানের সংবাদমাধ্যম এটা করতে পারে না।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের সমালোচনা করবেন ঠিক আছে। কিন্তু সেটা যেন অসংলগ্ন না হয়। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে স্বাধীনতা ভোগের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রতি যে দায়িত্ব রয়েছে সেটাও পালন করতে হবে।সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তথ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, মহাসচিব ওমর ফারুক ও ডিইউজে’র সভাপতি শাবান মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিউজে’র সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় সাংবাদিক নেতারা নবম ওয়েজ বোর্ডের দাবি তোলেন। তারা সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা এবং বয়স্ক সাংবাদিকদের জন্য সুবিধাজনক কর্মসংস্থানেরও দাবি করেন।