• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কুলাঙ্গার ছেলের আগুনে দগ্ধ বাবার মৃত্যু


প্রকাশিত: ১:২৪ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৯ বার

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে নতুন মডেলের মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় ছেলের হাতে দগ্ধ বাবার মৃত্যু মৃত্যু kulangar-www-jatirkhantha-com-bdহয়েছে।আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ওই ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে। নিহত রফিকুল ওরফে পিন্টু ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্তান ফারদিন হুদা মুগ্ধ (১৭) এর দেয়া আগুনে পুড়ে গিয়েছিল তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ। এ ঘটনায় মা সিলভিয়া হুদাও আহত হয়েছিলেন।

রফিকুল হুদার ভাই এ টি এম সিরাজুল হুদা বলেন, আজ ভোর চারটার দিকে রফিকুল মারা যান। তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে ফরিদপুরে আনা হবে।ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হলে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করবে।

নতুন মডেলের মোটরসাইকেল না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর শহরে নিজের মা-বাবার শরীরে আগুন দেয় ১৭ বছরের এক কিশোর। এতে তার বাবা রফিকুল হুদা গুরুতর দগ্ধ হন। মা সিলভিয়া হুদা (৪০) সামান্য দগ্ধ হন। আগুনে কিশোরের শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।

রফিকুলের ভগ্নিপতি আকরাম উদ্দিন আহমেদের ভাষ্য, চলতি বছর এসএসসি পাস করা ওই কিশোর তার বাবার কাছে নতুন মডেলের একটি মোটরসাইকেল দাবি করে। কিন্তু মোটরসাইকেল কিনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে বাবার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে রফিকুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। সিলভিয়ার পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়। আগুনে ওই কিশোরেরও পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়।

ঘটনার পর এলাকাবাসী তিনজনকেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রফিকুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত শুক্রবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সিলভিয়া ও তাঁর ছেলেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রফিকুল পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ওই কিশোর তাঁর একমাত্র সন্তান।