কুরআনে ভূমিকম্প-‘আমি ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো নিদর্শন পাঠাই না’
মোহাম্মদ আবু তালহা তারীফ: মৃদু কম্পনে সারাদেশ কম্পিত হয়ে উঠল। মহাবিপদের সম্মুখীন হয়েছিল মানুষ। বায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিকভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে থাকাই এর কারণ।
বৈজ্ঞানিকরা বর্তমানে এ সমস্যার কথা বললেও আজ থেকে চৌদ্দশ’ বছর আগে আল্লাহতায়ালা বিশ্ববাসীকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পৃথিবী বিপন্ন। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা কি দেখে না যে, ক্রমেই আমরা তাদের জমিনকে এর বহিঃপরিসরের দিক দিয়ে সংকুচিত করছি।’ সূরা রাদ : ৪১
বিপদ এখানেই পরিসমাপ্ত নয়। সমুদ্রের তলদেশে বাইরের দিক প্রসারিত হওয়ায় পাশাপাশি বেড়ে গেছে ভূমিকম্পের মতো ঘটনা। এসব সমস্যা নিয়ে সপ্তম শতাব্দীতে কেউ ভাবত না। কিন্তু পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে আগেই বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন মহাসমুদ্র উত্তাল করে তোলা হবে।’ সূরা তাকবির : ৬
মহান আল্লাহতায়ালা সর্বাধিক জ্ঞানী।
তিনি তাঁর বান্দাকে সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন নিদর্শন সৃষ্টি করেন, যাতে করে তারা মহান আল্লাহর ইবাদত ও দাসত্ব করা সম্পর্কে সচেতন ও ভীত হয়।আল্লাহ বলেন, ‘আমি ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো নিদর্শন পাঠাই না।’ সূরা ইসরাইল : ৫৯
ভূমিকম্প ও অন্যান্য সব দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ায় দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। দুর্যোগ আসার কারণ হচ্ছে শিরকি কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়া।
মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘বল! আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে কিংবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম, তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে এক দলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।’ সূরা আনআম : ৬৫
আল্লামা আল কাউয়ুম রহ. বলেন, আল্লাহতায়ালা মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়।
যখন ভূমিকম্প, সূর্যগ্রহণ কিংবা ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষের উচিত মহান আল্লাহর কাছে নিজের ও দেশের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা। প্রিয় নবী (সা.) সূর্যগ্রহণ দেখলে বলতেন, ‘যদি তুমি এ রকম কিছু দেখে থাক তখন দ্রুততার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ কর। তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।’ বুখারি-২/৩০, মুসলিম-২/৬২৮ বিপদ-আপদ সব নিজের হাতের কামাই।