কুমিরের বদান্যতায় যুবকের জীবন রক্ষা!
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার : সাহসের বারোটা বেজেছিল এক যুবকের! কিন্তু শেষমেষ রক্ষা পেয়েছে কুমিরের বদান্যতায়! সাহসটা বোধ হয় একটু বেশিই দেখিয়ে ফেলেছিলেন। অন্যদের বিনোদন দিতে গিয়ে নিজেকেই ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানায়।
চিড়িয়াখানার কর্মী একটি কাঠের টুকরা নিয়ে কুমিরের মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন। এরপর আবার তা বের করে আনছিলেন। আর এ দৃশ্য দেখে আনন্দ পাচ্ছিলেন দর্শকেরা। তবে এভাবে খেলা দেখানোর একপর্যায়ে ওই যুবক হঠাৎ করেই কুমিরের মুখে নিজের মাথা ঢুকিয়ে দেন।
অকুতোভয় কাণ্ড দেখে শিউরে ওঠেন দর্শকেরা। কিন্তু অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকা কুমিরটি হঠাৎ মুখ বন্ধ করে দেয়। কয়েক সেকেন্ড তার মাথা আটকে থাকে কুমিরের মুখে। এমন বিপদে পড়ে ঘাবড়ে যান যুবক। বেশ কয়েক সেকেন্ড কুমিরের মুখে বন্দী থাকার পর জোরে চেঁচাতে শুরু করেন তিনি। অতঃপর, ‘ঘাবড়ে’ গিয়ে কুমিরই তাকে ছেড়ে দিয়ে সরে পানিতে নেমে যায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, থাইল্যান্ডের একটি চিড়িয়াখানায় পশুদের তদারকি করা এক কর্মী দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য কুমিরের সঙ্গে খেলা দেখাতে শুরু করেন। চিড়িয়াখানার কর্মী কুমিরের খাঁচার মধ্যে ঢোকেন। এরপরই শুরু করেন নানান কেরামতি।
কুমিরের হাঁ করা মুখের সামনে দুটি লাঠি নিয়ে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। সেই লাঠি নিয়ে কুমিরের মাথায় ছোঁয়ান, আবার কখনো কুমিরের চোয়ালে খোঁচা দেন। এ ধরনের কসরত করতে করতে আচমকাই ওই কর্মী তাঁর মাথা ঢুকিয়ে দেন কুমিরের খোলা মুখে।
মুহূর্তে কুমিরটি তার চোয়াল বন্ধ করে দেয়। যন্ত্রণায় ওই কর্মী ছটফট করা শুরু করলে কুমিরটি তাঁর মাথা ছেড়ে দিয়ে পানিতে নেমে যায়। এমনই এক ভয়ানক দৃশ্য চিড়িয়াখানায় আসা এক দর্শক ক্যামেরাবন্দী করেন। ভিডিওটি আপলোড করা হয় ইউটিউবে।