কি আছে মীর কাসেম আলীর কপালে-মামলা নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রধান বিচারপতি-
সুপ্রীমকোর্ট রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, মামলা পরিচালনায় ব্যর্থতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সময় এসেছে।বুধবার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবারও প্রধান বিচারপতি মীর কাসেম আলীসহ যুদ্ধাপরাধের অন্যান্য মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও তদন্ত সংস্থার অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং দুর্বলতার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনায় খুবই মর্মাহত। মামলার এভিডেন্স দেখলে, এগুলো পড়লে আমাদের খুব কষ্ট লাগে। মামলাগুলো যখন আমরা পড়ি, তখন আমাদের গা ঘিনঘিন করে তাদের মামলা পরিচালনা দেখে। সব মামলায় এটা হয়ে আসছে।’
এরপর প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘এত হাফ হার্টেড হয়ে আপনারা মামলা চালান কেন? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থার পেছনে রাষ্ট্রের লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু তারা এসব কী মামলা পরিচালনা করছে? ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শুধু ব্যস্ত টিভিতে চেহারা দেখানো নিয়ে। তারা দামিদামি গাড়ি চড়েন আর পুলিশের হুইসেল দিয়ে ঘুরে বেড়ান।
রায় ঘোষণা আগামী ৮ মার্চ …………………
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের উপর জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ মার্চ দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃতাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেয়।
এর আগে প্রধান বিচারপতি আপিলের রায় ঘোষণা জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন। পরে বেলা সোয়া একটায় এই তারিখ পরিবর্তন করে ৮ মার্চ দিন ধার্য করে দেন।বেঞ্চের অন্য চার সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।সকালে আপিলের উপর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে তার বক্তব্যের জবাব দেন মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন তিনি। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের উপর শুনানি শুরু হয়।