কিরগিজস্তানে মর্গে হায়দার-প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগীদের
কূটনৈতিক রিপোর্টার : কিরগিজস্তানে মর্গে পড়ে আছে হতভাগ্য নড়াইলের হায়দার এর লাশ। লাশ আনতে হায়দারের পরিবার সরকারের সব মহলে লিখিত দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না। নড়াইলের এমপিও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না রহস্যজনক কারণে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে হায়দারের লাশ দেশে ফেরত আনার দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিরগিজস্তানে হায়দার মোল্যা নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দেশটিতে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় দেড় মাসেও দেশে ফেরেনি তার মরদেহ। হায়দার মোল্যার বাড়ি নড়াইল জেলার সদর উপজেলায়। জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে কিরগিজস্তান গিয়ে কাজ না পাওয়ায় হতাশায় মৃত্যু হয় বলে হায়দার মোল্যার পরিবারের অভিযোগ। জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল মাসে ট্রাভেল এজেন্সি ও দালালরা কৌশলে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্রে সেলফ (সকল দায়দায়িত্ব নিজের) দেখিয়ে কিরগিজস্তানে পাঠান হায়দারকে। সেখানে গিয়ে কাজ না পাওয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন হায়দার। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হায়দার।
এদিকে এক মাসের এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর ভিসা নবায়ন করেননি দালাল চক্র। সে কারণে অসুস্থ হওয়ার পরেও কোনো চিকিৎসা পায়নি হায়দার। গত ৩ জুন মৃত্যু হয় হায়দারের। হায়দারের মরদেহ সে দেশের ৮নং সরকারি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে হায়দারের মরদেহ দেশে আনতে পরিবার ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেন। কিরগিজস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস বা শ্রম শাখা না থাকার কারণে গত ৫ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। কিন্তু আজ দেড় মাসেও দেশে ফেরেনি হায়দার মোল্যার মরদেহ।
এদিকে কৌশলে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্রে সেলফ (ভিসা ও কাজের সকল দায়দায়িত্ব কর্মীর নিজের) ব্যবহার করে ধরাছোঁয়ার বাইরে ট্রাভেল এজেন্সি ও দালাল চক্র। হায়দার মরদেহ দেশে ফেরত আনতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বজনরা।মৃতের পরিবার বলেন, কাজ না দিতে পারার কারণে মৃত্যু হয় হায়দারের। পরিবারের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি খরচে হায়দার মরদেহ দেশে আনাসহ এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিচার চান তারা।