• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কিডন্যাপ রহস্য-আদালতে গোমর খুলে বলে মুক্ত কবি ফরহাদ মজহার


প্রকাশিত: ৭:০০ পিএম, ৪ জুলাই ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯৩ বার

কোর্ট রিপোর্টার :  নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগর থেকে উদ্ধার হওয়া কবি, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার farhad-mazhar_www.jatirkhantha.com.bd.000মুক্তি পেয়েছেন।মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আহসান হাবিব ফরহাদ মজহারকে নিজ জিম্মায় মুক্তি দেন। এর আগে নিজেকে অপহরণের বিষয়ে একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন কবি ফরহাদ মজহার।

জবানবন্দি শেষে নিজ জিম্মায় যাওয়ার জন্য কবির করা আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তার পক্ষে এই আবেদনের ওপর শুনানি করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নাল আবেদিন মেজবাহ ও জিয়াউদ্দিন জিয়া।

এরআগে সোমবার ভোর ৫টার পর রাজধানীর শ্যামলীর নিজ বাসা থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। এর ১৯ ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে যশোরেরে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় । বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। পরে তাকে স্থানীয় অভয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই কড়া প্রহরায় তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।farhad_mazhar-relese-www.jatirkhantha.com.bd

পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় যশোর থেকে ফরহাদ মজহারকে প্রথমে ঢাকার আদাবর থানায় নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে ডিবি কর্মকর্তাদের কাছে নিজের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা বিবরণ জানান ফরহাদ মজহার।

দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন ফরহাদ মজহারের বরাতে তাকে অপহরণের কথা জানান। ডিবি কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহার আমাদের জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে তিনি রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ১ নম্বর বাসা থেকে বের হন। এর পরপরই বাড়ির সামনে থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধরে চোখ বেঁধে একটি সাদা মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ফরহাদ মজহার জানিয়েছেন, ওষুধ কেনার জন্য তিনি বাসা থেকে বের হন। তাকে কেউ ফোন করেননি। বাসা থেকে বের হওয়ার পরই তাকে জোর করে অপহরণ করা হয়। আবদুল বাতেন বলেন, সোমবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর রাত ১০ থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে যশোরের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, সারাদিনে ফরহাদ মজহারের মুঠোফোন নম্বর থেকে কয়েকবার ফোন করে টাকা দাবি করা হয়েছে—পরিবারের এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় আদাবর থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অপহরণ মামলার বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

এছাড়া ঘটনার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় ফরহাদ মজহারের দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।