• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কিডনি বিকল হয় পানিবাহিত ডায়রিয়া ডেঙ্গুসহ বিশেষ ধরনের ম্যালোরিয়া রোগে


প্রকাশিত: ৪:৩৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৭ বার

ডা. শহিদুল্লাহ  :  দেশে প্রতি বছর হঠাৎ কিডনি আক্রান্ত হয়ে ১০-১৫ ভাগ রোগী এবং সমপরিমাণ রোগী ধীরগতির কিডনি বিকল সমস্যা নিয়ে kkkহাসপাতালে ভর্তি হন। বেশিরভাগের হঠাৎ কিডনি বিকল হয় পানিবাহিত ডায়রিয়া, ডেঙ্গুসহ বিশেষ ধরনের ম্যালোরিয়া রোগে। এছাড়া প্রসবকালীন জটিলতা, ওষুধের ব্যবহার বিশেষভাবে দায়ী।

তবে কিডনি অকেজো হবার প্রধান কারণগুলো হলো- ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস। বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে আক্রান্ত যাদের মধ্যে প্রতি বছর ৩৫-৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে। কিডনি অকেজো রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল যা ৯০ ভাগ মানুষের সাধ্যের বাইরে। তাই কিডনি রোগ হবার আগে কিডনি সুস্থ রাখতে সবার সচেতনতা জরুরি।

তবে কারো কিডনি রোগ হয়েছে কিনা তা জানতে বছরে অন্তত: একবার হলেও রক্তের ক্রিয়েটিনিন ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা উচিত।
সোমবার ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস’ উপলক্ষে ‘সবার জন্য সুস্থ্য কিডনি’-থিম ধারণ করে মিরপুরস্থ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সড়কে র‌্যালি শেষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খাঁন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনী ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ।

জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন বলেন, দেশে কিডনি রোগ চিকিৎসায় ইতিমধ্যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। কিডনি সংযোজনের পর একজন রোগী শুধু সুস্থ হয়েই উঠেন না, বরং তিনি পারিবারিক স্বাভাবিক জীবন যাপনের পাশাপাশি সন্তান ধারনেরও ক্ষমতা রাখেন। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।।

অধ্যাপক হারুন আর রশিদ জানান, কিডনি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। এজন্য কিডনি রোগ হবার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগ প্রতিরোধে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, অতিরিক্ত লবণ পরিত্যাগ, ফাস্টফুড, চর্বি জাতীয় ও ভেজাল খাবারসহ ধুমপান বর্জন করার পরামর্শ দেন তিনি।