কালিগঞ্জে ১৮ বিকাশ এজেন্টের এ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লাখ টাকা লুট
বিশেষ প্রতিনিধি .ঝিনাইদহ থেকে : কালিগঞ্জে ১৮ বিকাশ এজেন্টের এ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লাখ টাকা লুট হয়েছে অভিনব কায়দায়। কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বিকাশ একাউন্ট মালিকরা জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন, রহস্যজনকভাবে জালিয়াতি করে তাদের এ্যাকাউন্টের প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াত চক্র। গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৮ জন এজেন্টের কাছ থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ শহরের বিকাশ এজেন্টদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
কালীগঞ্জ গ্রামীণ সুজের মালিক ও বিকাশ এজেন্ট আসাদুল ইসলাম বলেন, আমার একাউন্ট থেকে ৪৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ভাবে কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।এছাড়া, কালীগঞ্জ শহরের ভিআইপি সুজের মালিক জানান, তার বিকাশ একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী ইলিয়াস রহমান মিঠু জানান, বিকাশের হেড অফিসের সিম ক্লোন করে তাদের নম্বরে ফোন দেওয়া হয়।
এরপর ফোনটি রিসিভ করে কথা বলার পর দেখেন তার একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও। তিনি আরো বলেন, এ ভাবে কালীগঞ্জ শহরের নলডাংগা ভুষন রোডের বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে দশ লাখ টাকার উপরে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্থ বিকাশ ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানী ঢাকার বিকাশ নম্বর থেকে ফোন করে তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করার আশ্বাস প্রাদান করা হয়। একপর্যায়ে এজেন্টদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সর্বশেষ তারা কত টাকার ব্যালেন্স ট্রান্সফার করেছে এবং কত টাকা জমা আছে।
এ ব্যাপারে বিকাশ এজেন্টের কালীগঞ্জ শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নুর আলম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমারা কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে এজেন্টদেরকে সতর্ক করে থাকি। অথচ তার বেশী মুনাফার লোভে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর হেড অফিস থেকে লেনদেনের বিষয়ে কোন তথ্য চাওয়া হয় না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তার নিকট এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।