যার পাপে অপমানিত হলেন ইউএন’ও?
বিশেষ প্রতিনিধি : কার পাপে অপমানিত হলেন ইউএন’ওর? আর কেনইবা তাঁকে পাকরাও করে জুলুম অপদস্তের শিকার হতে হলো-এনিয়ে বিস্মিত উৎকন্ঠিত খোদ হাসিনা সরকারের উর্ধতণ কর্তৃপক্ষ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাও।খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,এই অফিসারটি রীতিমতো পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আর সেখানে উল্টো আমরা তাঁর (ইউএনও) সঙ্গে অপমানজনক কাজ করেছি!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশুদের বঙ্গবন্ধুকে চিনতে এবং তাদের বঙ্গবন্ধুর ছবি অাঁকতে উৎসাহদানকারী ইউএন’ওকে পুরস্কার না দিয়ে তিরস্কার করে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ঘটনার নেপথ্যে তেলবাজ নেতাদের কিছুই হয়নি।
স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানোর অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত বিস্মিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমরা সবাই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ যত কর্মকর্তা ছিলাম, এটি দেখে আমরা সবাই বিস্মিত হয়েছি। যে ব্যক্তি এই মামলা করেছেন, আমরা মনে করি, তিনি অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ করেছেন।’
এইচ টি ইমাম জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে একজন ইউএনওকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার ছবিটি দেখান। ছবিটি দেখে প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বললেন, ক্লাস ফাইভের ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এই অফিসার সুন্দর একটি কাজ করেছেন।
সেখানে যে ছবিটি আঁকা হয়েছে, সেটি আমার সামনেই আছে, আপনারা দেখতে পারেন এবং এই ছবিটিতে বিকৃত করার মতো কিছু করা হয়নি। এটি রীতিমতো পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এই অফিসারটি রীতিমতো পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আর সেখানে উল্টো আমরা তাঁর (ইউএনও) সঙ্গে এই করেছি, এই বলে প্রধানমন্ত্রী তিরস্কার করলেন। বললেন, এটি রীতিমতো নিন্দনীয়।’
প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীকে কোনো রকম অনুমোদন ছাড়া গ্রেপ্তার করা যায়না-কারণ, ইউএনও হচ্ছেন উপজেলা পর্যায়ে সরকারের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁকে কোনো শাস্তি দিতে হলে বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা কোনো রকম কিছু করতে হলে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।
এদিকে ঘটনার জন্য বরিশালের ডিসি-এসপিকে দায়ী করেন এইচ টি ইমাম। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ যে ব্যবহার করেছে, এই ছেলেটির (ইউএনও) সঙ্গে, যেভাবে তাঁকে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে ওখানকার ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার, এঁদের প্রত্যেককে আমি দায়ী করব। এঁদের বিরুদ্ধেও আমাদের বোধ হয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কীভাবে পুলিশ এ রকম একটি মামলা নিল, বিচারক কীভাবে মামলাটি গ্রহণ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাঠপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে তিনিও একমত।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমাদের অফিসারটিকে যেন হেনস্তা করার জন্য পুলিশ যেভাবে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে, এই পুরো ঘটনায় যে রকম তীব্র ক্ষোভ ফেটে উঠেছে, আমি তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এইচ টি ইমাম বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, যে ব্যক্তি এই মামলা করেছে, সে কে?
মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিয়েছেন জানিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এই লোক পাঁচ বছর আগেও আওয়ামী লীগে ছিল না। দলের ভেতরে ঢুকে পড়া এই অতি উৎসাহীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, এই চাটুকারেরাই আমাদের ক্ষতি করছে।’
এইচ টি ইমামের মতে, এ ঘটনার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ইউএনওর বিরুদ্ধে হয়তো তাঁদের কোনো ক্ষোভ ছিল। তাঁকে অপমানিত করা ছিল তাঁদের লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে একটি অসন্তোষ সৃষ্টি করা। তৃতীয়ত, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।ঘটনাটি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং দলটির সমমনাদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, তারিক সালমান বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকার সময় গত স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ গত ৭ জুন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ইউএনওর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারিক সালমানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তারিক সালমানকে বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়। গত বুধবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তারিক সালমান। আদালত প্রথমে তা নামঞ্জুর করে ইউএনওকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই ঘণ্টা পর তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।
ইউএনও তারিক সালমান জাতিরকন্ঠকে বলেন, তিনি আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর ছবি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্রে ছাপা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি ছবি ছিল বঙ্গবন্ধুর। সেই ছবিটি স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে ছাপানো হয়।
বরিশালের সেই ‘ন্যাতা’ বললেন-
শিশুর অাঁকা বঙ্গবন্ধুর সেই ছবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষাপটে বরিশালের সেই ‘ন্যাতা বললেন- বানারীপাড়া উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমানের মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম হয় নাই। তিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখেন নাই। সেকারণেই বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি দিয়ে কার্ড ছাপতে পেরেছেন।
উনি যদি বঙ্গবন্ধুকে দেখতেন, তখন যদি তার জন্ম হতো, তাহলে বুঝতেন বঙ্গবন্ধু কী জিনিস!” পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে কার্ড ছাপানোয় ইউএনও’র বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও মানহানির মামলা দায়েরকারী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তবে ওবায়েদ উল্লাহ সাজু দাবি করেন, তিনি জানতেন না ওই ছবিটি কোনও শিশুর আঁকা। পরে দেখেছেন কার্ডের এক পাশে ‘ছোট্ট’ করে লেখা আছে ওই শিশুর পরিচয়। তার ভাষ্য, “শুধু ‘বিকৃত’ ছবিই বিষয় নয়। বঙ্গবন্ধুর ছবি কার্ডের দ্বিতীয় পাতায় ছাপা হয়েছে। এটাও বঙ্গবন্ধুর অবমাননা।” তার দাবি, ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি কেন প্রথম পাতায় ছাঁপা হলো না?’
মামলা দায়েরকারী আইনজীবী আরও বলেন, ‘এই ছবির কথা কয়েকটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তখন আমার চোখে পড়েছে। আমার মনে হয়েছে তিনি বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার জন্যই এই ছবি ছেপেছেন। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি বলেই কষ্ট পেয়ে মামলা করেছি। কেউ আমাকে মামলা করতে প্ররোচিত করেনি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে ছবি ছাপা হয়েছে সেখানে অনেক অসঙ্গতি আছে। বঙ্গবন্ধুর ব্যাকব্রাশ, ফিগার এবং আরও কিছু বিষয় সঠিকভাবে আঁকা হয়নি। গলায় একটা মাফলার দেওয়া হয়েছে, যা ঠিক হয়নি।’
প্রশ্ন করা হয়: এটাতো একটি শিশুর আঁকা ছবি। তার কি কোনও উদ্দেশ থাকতে পারে? -শিশুর আঁকা ছবি ঠিক আছে। তাহলে একই কার্ডে আরও একটি শিশুর ভিন্ন বিষয়ে ছবি আছে। সেটাতো সুন্দর। তবে আমি বুঝতে পারিনি যে কার্ডে ছাপা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি কোনও শিশুর আঁকা। আমি প্রথম পত্রিকায় ছবিটি দেখি। পরে কার্ডটি সংগ্রহ করে মামলাটি করি। কার্ডে এক পাশে ছোট করে লেখা ছিল শিশুর নাম ও পরিচিতি যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না। আমি যদি প্রথম জানতে পারতাম ছবিটি শিশুর আঁকা তাহলে মামলা করতাম না।
এখন তো জানতে পেরেছেন। মামলাটি কি এখন চালাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন -আমারা তো মামলা করেছি। কোর্ট ওনাকে সমন দিয়েছে। উনি হাজির হয়েছেন। কোর্ট কী বুঝে জামিন ক্যানসেল করলো আবার কী বুঝে জামিন দিলো সেটা তাদের ব্যাপার। বিষয়টি এখন কোর্টের এখতিয়ার।
শিশুরাতো এখন ভয় পাবে। বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকবে না। শিশুর কল্পনা কি অপরাধ? -না শিশুর কল্পনা অপরাধ হবে কেন? এখন তারা ছবি আঁকতে ভয় পাবে কেন? এখন গল্প বানানো হয়েছে। এটাতো তিন মাস আগের ঘটনা। উনি যদি প্রথম থেকে বলতেন এটা শিশুর আঁকা ছবি তাহলে এসব কিছু হতো না। আপনি তো কার্ড দিয়ে মামলা করেছেন, কার্ডে কোখায় কী লেখা আছে দেখেননি?
-মামলার সময় দেখেছি। তবে অনেক ছোট করে পাশে লেখা এই ছবিটি পঞ্চম শ্রেণি পাশ অমুকের আঁকা। খুব ক্ষুদ্র আকারে লেখা সাধারণ চোখে যা পড়ে না। আর তিনি পরে আদালতে যে কার্ড দেখিয়েছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রথম পাতায় ছিল। ছবিটিও ভাল করে আঁকা। এটা কিভাবে হলো আমি বুঝতে পারছি না। মামলার আগেও তিনি পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পরও বলেননি যে এটা শিশুর আঁকা।
একটি প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক পক্ষের হয়ে ইউএনওকে হেনস্তা করাতে মামলা করেছেন- এমন অভিযোগের জবাবে আইনজীবী ওবায়েদ উল্লাহ সাজু দাবি করেন,‘ আমি বঙ্গবন্ধুর অনুসারি, তাকে ভালোবাসি। কারুর প্ররোচনায় নয়। নিজে কষ্ট পেয়ে মামলা করেছি।’
এখনও কি ইউএনও’র শাস্তি চান? -শাস্তি মূল বিষয় নয়। আমি এই মামলার মাধ্যমে সবাইকে একটি মেসেজ দিতে চেয়েছি। আর তা হল বঙ্গবন্ধুকে কোনোভাবে অসম্মান সহ্য করা হবে না। মামলায় তো পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দাবি করেছেন। যদি পান তাহলে ওই টাকা দিয়ে কী করবেন? -কী করবো? মামলায় ক্ষতিপূরণ চাইতে হয়। তাই চেয়েছি। পেলে সরকারি কোষাগারে জমা দেবো।
এমপি হাসানাতের ভাতিজা পিয়াল
সেরনিয়াবাতের নকল ধরায়-
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এমপি হাসানাতের ভাতিজা পিয়াল সেরনিয়াবাতের নকল ধরায় এবং তাকে কারাদণ্ড দেওয়ায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।ওই মামলার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন বরগুনা সদরের ইউএনও তারিক সালমান। অপরাধ জাতির জনকের ছবি বিকৃতি। তবে সবারই ধারণা ছবি বিকৃত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। তাহলে তারিক সালমান কেন এই অন্যায়ের শিকার হলেন?
ইউএনও নিজেই জানান, ঘটনার শুরু গত এপ্রিলে বরিশালের আগৈলঝাড়ার শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে বাংলাদেশের ইতিহাস ও অভ্যুদয় পরীক্ষা চলকালে।
পরীক্ষার শেষ সময়ে সরকারি গৌরনদী কলেজের শিক্ষার্থী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ছেলে আল রাজিন ওরফে পিয়াল সেরনিয়াবাতকে নকল করার দায়ে বহিষ্কার করেন সেখানে দায়িত্বরত ইউএনও তারিক সালমান। তখন পিয়াল তার চাচা বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর পরিচয় দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
এ ঘটনায় পিয়ালকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নকলে সহযোগিতা করায় কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নারায়ণ চন্দ্র সরকারকে দুই মাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে পরীক্ষা কক্ষে কর্মরত থাকা দুই প্রভাষককেও বহিষ্কার করা হয়। তখন থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষিপ্ত ছিল তারিক সালমানের ওপর। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে।