• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

কার ইঙ্গিতে বিজিএমই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে টিআইবি


প্রকাশিত: ৯:০৪ পিএম, ১৫ জানুয়ারী ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

bgmea president sida.com.bddkur rahman-www.jatirkhanthবিশেষ প্রতিবেদক  :  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবার বিজিএমই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমে দুরভিসন্ধিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আজ বিজিএমইএ টিআইবি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছে প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, সত্যের অপলাপ দুরভিসন্ধিমূলক।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এই প্রতিবেদনের ফলে পোশাক শিল্পের ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

টিআইবি এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, তৈরি পোশাক খাতে ১৬ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। কার্যাদেশ পাওয়া থেকে শুরু করে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায় পর্যন্ত এ দুর্নীতি আর অনিয়ম হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকেন কারখানার মালিক, মার্চেন্ডাইজার ও বিদেশি ক্রেতারা। পণ্যের মান, পরিমাণ ও কমপ্লায়েন্সের ঘাটতি ঘুষের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় আজ বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। টিআইবিকে গবেষণার পদ্ধতি আরও ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ ৭৪ জনের মন্তব্য নিয়ে লাখ লাখ শ্রমিক, উদ্যোক্তা ও ক্রেতার এই শিল্পকে নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করা কখনোই এই শিল্পের জন্য সহায়ক নয়। টিআইবি ৭৪ জনের সঙ্গে কথা বলেছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে তাজরিন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছিল পোশাক শিল্পের। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ শিল্প লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে। এ সময় এ ধরনের প্রতিবেদন আশা করিনি। এটি এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

টিআইবির প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা নাকি নিম্নমানের পণ্য কেনার জন্য ঘুষ দিচ্ছে। যেখানে আমরা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নিয়ে কাজ করছি, সেখানে ঘুষ দিয়ে ক্রেতাকে ম্যানেজ করছি, এটা কতটা যুক্তিযুক্ত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এই গবেষণার কপি তারা (টিআইবি) বিজিএমইএকে দেয়নি। আমরা গণমাধ্যমে এই তথ্য জানতে পেরেছি।

টিআইবির বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা এই ব্যাপারে এখনো চিন্তা করিনি। নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।অভিযোগের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কিছু কিছু জায়গায় অসংগতি থাকতে পারে, তবে অসঙ্গতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।