কার্টার যাদুকর মুস্তাফিজ ইডেন গার্ডেন মাতাবে কাল
আসমা খন্দকার : ইডেন গার্ডেনে কাল দেখা হবে কার্টার যাদুকর -মুস্তাফিজের। সেই গত বছরের ভারত সিরিজ থেকেই তো তাঁর বোলিংয়ের বিশেষ এই ‘অস্ত্র’টা স্বচক্ষে দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছে ভারতের দর্শকেরা। ক্রিকেটের কার্টার যাদুকর মুস্তাফিজের জন্য মাশরাফির অপেক্ষা আরও তীব্র।
এক এক করে তিন ম্যাচই বসে থাকলেন মাঠের বাইরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বটা শেষ হয়ে গেল এভাবেই। মুস্তাফিজুর রহমানের ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াই এখনো শেষ হয়নি। শেষ হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার মুস্তাফিজকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষাও।গত রাতে কলকাতা থেকে এই অপেক্ষার কথাই বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘মুস্তাফিজ অল্প অল্প বোলিং শুরু করেছে।
তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার টেনের ম্যাচে সে খেলবে কি না এখনো নিশ্চিত নই।’ মাশরাফি জানিয়েছেন, মুস্তাফিজ কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, সেটা পুরোপুরি নির্ভর করছে তাঁর ব্যথার ওপর। কোচ-ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুস্তাফিজ নিজেই।
দলের অন্য একটি সূত্রে অবশ্য জানা গেছে, ব্যথা সহনীয় পর্যায়ে থাকলে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে হলেও মাঠে নামতে পারেন বাঁ হাতি এই পেসার। পাকিস্তানকে সর্বশেষ দেখায় এশিয়া কাপে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু বাংলাদেশের সুপার টেন। আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে সুপার টেনে জয় দিয়ে শুরু করার ইচ্ছাটাও প্রবল।
এ কারণে হয়তো কাল ইডেন গার্ডেনে দেখা মিলতে পারে কাটার-মুস্তাফিজের। সেই গত বছরের ভারত সিরিজ থেকেই তো তাঁর বোলিংয়ের বিশেষ এই ‘অস্ত্র’টা স্বচক্ষে দেখার অপেক্ষায় ভারতের দর্শকেরা। তবে মুস্তাফিজের জন্য মাশরাফির অপেক্ষা আরও তীব্র। ‘এ রকম একজন বোলারকে কোন অধিনায়ক দলে চাইবে না! সে আমার মূল বোলার।
সুপার টেনে ওকে অবশ্যই খুব করে চাইব আমি’—বলেছেন মাশরাফি। তবে এও জানালেন, সবার আগে মুস্তাফিজের ফিটনেস। তাঁর ওপর অহেতুক চাপ তৈরি করতে চায় না বাংলাদেশ।মুস্তাফিজের জন্য অধিনায়কের এই অপেক্ষা স্বাভাবিক।সুপার টেনে বাংলাদেশ দলের সব প্রতিপক্ষই কঠিন। দলে মুস্তাফিজের মতো কেই থাকলে এসব বড় ম্যাচে সাহসটা বাড়ে।
মুস্তাফিজ থাকলে যে প্রতিপক্ষ দলের আত্মবিশ্বাসে আগে থেকেই এখন একটা ধাক্কা লাগে, এ তো না বলে দিলেও চলছে।মুস্তাফিজকে এত অল্প সময়ে বিশাল খ্যাতি এনে দিয়েছে তাঁর দুর্বোধ্য কাটার। আবার ক্যারিয়ারের প্রথম চোটের সমস্যায়ও তিনি পড়েছেন সেই কাটারের জন্যই। বিশেষ করে স্লোয়ার ডেলিভারিগুলোতে বাঁ হাতের মাংস পেশিগুলোতে ব্যথা অনুভব করেন।
গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি হোম সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে তো সে কারণেই খেলতে পারলেন না। দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন বলে সমস্যাটা এখনো পুরোপুরি যায়নি।এর মধ্যেই এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে চোট পান ডান পাঁজরে। সেই থেকেই আবারও মাঠের বাইরে মুস্তাফিজ। মাশরাফিও আবারও অপেক্ষায় বোলিং আক্রমণে ‘কাটার-মাস্টার’কে ফিরে পাওয়ার। মুস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সম্পদ। দেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। এ কারণেই এই সম্পদ সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ।