কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি
নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক মাস পর মালয়েশিয়ার বিমানের খোঁজে আজ শনিবার থেকে ভারত মহাসাগরে ব্যাপক আকারে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তল্লাশিতে এবারের লক্ষ্য বিমানটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজে বের করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১০টি সামরিক বিমান, তিনটি বেসামরিক বিমান ও ১১টি জাহাজ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের দুই লাখ ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান করা হবে। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়ার বিমানটি এখানেই বিধ্বস্ত হয়েছে।
নিখোঁজ বিমানটি অনুসন্ধানে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী প্রধান অ্যানগাস হিউজটন বলেন, ‘ছয় সপ্তাহের মধ্যে আমরা যদি কোনো কিছু খুঁজে না পাই, তার পরও আমরা তল্লাশি অব্যাহত রাখব। বিমানের অনেক কিছু থাকে, সেগুলো ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে। আমি মনে করি, নিশ্চয় কিছু পাওয়া যাবে। যার ফলে আমরা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু করতে পারব।’
কর্তৃপক্ষ মনে করছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি। কিন্তু বিমানটির রাডারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ অন্যান্য প্রমাণ বলছে, ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নির্ধারিত পথের চেয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে যাচ্ছিল।
পানির তলদেশে শব্দপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তল্লাশি চালানোর ব্যবস্থা সোনার সার্চ সিস্টেমও এই অনুসন্ধানকাজে ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দুটি জাহাজ অনুসন্ধান দলে যোগ দেওয়ায় তা বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিখোঁজ বিমানটির রহস্যের কূল-কিনারা না হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মুখে আছে মালয়েশিয়া। নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় তথ্য মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানাচ্ছে না।