কারা অপহরণ করল প্রধানমন্ত্রীকে রাজা ইলিশ উপহার দেয়া কোরবান আলীকে!
কারা অপহরণ করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজা ইলিশ উপহার দেয়া কোরবান আলীকে! প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হতে চলল। ভোলার মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী কোরবান আলীকে এখনও মুক্ত হননি। সংশ্লিষ্ঠরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ঢাকার গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে থেকে বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। পরে শুক্রবার মুঠোফোনে দুর্বৃত্তরা পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।
কোরবানের ভগ্নিপতি জসিম জানান, এ পর্যন্ত বিকাশে ৭০-৮০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ দুপুর ১২টায় (শুক্রবার) কোরবান আলী মুঠোফোনে জানান, ১২ হাজার টাকা বিকাশে দেয়া হলে ওরা ছেড়ে দিবে। পরে বাংলালিংকের ০১৯১৯৯৪৯৯২০ নম্বরে দাবিকৃত ১২ হাজার টাকা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও বিকাশ করা যায়নি। পরে সোয়া ১২টায় আরেকটি নম্বর (০১৮২৪৪৪৮৩৩৮) দেন কোরবান। এই নম্বরে টাকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।বিকেল সাড়ে ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোরবান আলীর মুক্তি মেলেনি।
অপহৃতের বড় ভাই সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রহমান জানান, গত বছর জেলেদের জালে সাড়ে ৩ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ধরা পড়লে রামনেওয়াজ ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী (বর্তমানে অপহৃত) কোরবান আলী রাজা ইলিশ মাছটি ক্রয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার পাঠান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় কোরবান আলী নিজের মুঠোফোন থেকে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেন। তা না হলে অপহরণকারীরা তাকে ছাড়বে না বলে জানান। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। পরে মনপুরা থানায় অভিযোগ করলে পল্টন থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়।
মনপুরা থানার ওসি শাহীন খান জানান, মৎস্য ব্যবসায়ী কোরবান আলী ঢাকার পল্টন থেকে অপহৃত হয়েছে বলে তার বড় ভাই থানায় অভিযোগ দিতে আসলে পল্টন থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
ওই ব্যবসায়ীর আত্মীয়রা জানান, কোরবানসহ তার ভগ্নিপতি জসিম হোটেল খন্দকারে ৪২৪ নম্বর রুমে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসের সামনে থেকে বের হওয়ার পর মৎস্য ব্যবসায়ী কোরবান আলী ভগ্নিপতি জসিমকে ৫০০ টাকা দিয়ে ভাত খেয়ে হোটেলে চলে যেতে বলেন। তারপর কোরবান আর রাতে ফিরে আসেনি। পরে সকালে ফোন করে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলেন।