কাফনের কাপড় পরে হজযাত্রীদের নিয়ে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচী
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীদের পাঠানোর ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে কয়েকশ’ হজ এজেন্সি কাফনের কাপড় পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা, প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।‘ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সি’ নাােমে একটি সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুলের একটি হোটেলে একটি সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়।
সংগঠনটি আগামী কাল সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধ বুধবার একই স্থানে সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত অবস্থান এবং ১১ মে সোমবার হজযাত্রীদের নিয়ে কাফনের কাপড় পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালরে উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করবে।
সংঠনটির আহবায়ক হাবের সাবেক ইসি সদস্য মাওলানা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যানের মধ্যে উপস্থ্তি ছিলেন সদস্য সচিব কাদের মোল্লা, হাবের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাবেক সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন, সাবেক মহাসচিব মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, আব্দুল্লাহ আল নাসের, মো: যাকায়িাসহ দুই শতাধিক এজেন্সি মালিক।
কয়েক শ’ এজেন্সি মালিক বুধবার এক সভায় মিলিরত হয়ে‘ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সি’ নামে এ সংগঠন করে। বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর হজচুক্তি অনুযায়ী এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ থাকলেও হজযাত্রী হয়ে গেছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার। ফলে কোটা বৃদ্ধি করে এক লাখ ২৫ হাজার করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের কাছে লিখিত আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত সৌদি সরকার সেটি অনুমোদন করেনি।
ফলে শেষ পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কোটার মধ্যেই এজেন্সিগুলোর হজযাত্রী বণ্টন করে তালিকা পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী টাগের্টের চেয়ে কম হওয়ায় সেই কোটায়ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়। হাব কর্মকর্তাদের নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রণয়ন করে প্রথমে। ওই তালিকা নিয়ে রাখঢাক ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বেশ কিছু হজ এজেন্সি মালিক। অন্য দিকে তালিকায় নিজেদের হজযাত্রী অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য অসংখ্য এজেন্সি মন্ত্রী-এমপি ও সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হতে থাকে। আসতে থাকে নানা চাপ ও সুপারিশ। ফলে ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো তালিকা কাটছাঁট নিয়েই ব্যস্ত।
এ দিকে প্রায় ৫০০ এজেন্সির ২০ হাজার হজযাত্রী কোটার অতিরিক্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে এমন এজেন্সিও রয়েছে যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষের দিকে গিয়ে কোনো মোয়াল্লেম ফি জমা দিতে পারেনি। আবার কিছু এজেন্সি আছে মোয়াল্লেম ফি জমা দিলেও তারা তালিকার শেষের দিকে পড়ায় অতিরিক্ত হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রসস্ত এজেন্সিগুলো কোটা বৃদ্ধির অনুমোদন না পেলে নির্ধারিত কোটার মধ্যেই এজেন্সিপ্রতি শতকরা হারে কিছু হজযাত্রী কমিয়ে বিষয়টির সুরাহা করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
এ ছাড়া পাঁচ বছরের মধ্যে হজ করেছেন এমন হজযাত্রী এবংএবং ৪০ বছরের নিচের বয়স যাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের সুযোগ দেয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে কোটা বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সরকার এজেন্সিগুলোর দাবি ও প্রস্তাবকে এখন পর্যন্ত আমলে নেয়নি। এরই প্রেক্সিতে গতকাল সমাবেশ থেকে কর্মসূচী ঘোসনা করা হয়।এর আগে গত ২১ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন না। তাদেরকে পরের বছর অগ্রাধিকার দেয়া হবে।