কাকরাইল-ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য-সংঘবদ্ধ চক্রের কবলে জাতিরকন্ঠ সম্পাদক ও প্রকাশক
বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইল মোড় এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এই এলাকায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন অনলাইন দৈনিক ও সংবাদসংস্থা জাতিরকন্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব শফিক রহমান।ছিনতাইকারীরা তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।এসময় তিনি লোকজনকে ডাকলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।
সংঘবদ্ধ প্রায় ৫/৬ জনের ওই ছিনতাইকারী চক্রটি সাংবাদিককে গুলি করার ভয় দেখিয়ে নগদ ২ হাজার টাকা, এ্যাসার ল্যাপটপ, সনি ক্যামেরাসহ ২ লাখ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ওই স্পটে কোন কর্তব্যরত পুলিশ ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিন ছিনতাই হচ্ছে এই এলাকার ১০টি পয়েন্টে।
সকাল থেকে রাত অবধি ছিনতাইকারীরা এসব স্পট থেকে নিরীহ পথচারি, রিকশারোহী যাত্রীদের মূল্যবান সম্পদ কেড়ে নিচ্ছে। পল্টন, রমনা ও শাহবাগ থানার সীমান্ত এলাকাকে কেন্দ্র এসব পয়েন্টে ছিনতাই হলে এক থানার পুলিশ অন্য থানার দিকে ঘটনাপ্রবাহ ঠেলে দেয়। ফলে অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হলেও মামলা বা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে যান না।
কাকরাইলের এই ছিনতাই স্পটগুলো হচ্ছে, এসএ পরিবহন এলাকা, পারসোনা গলি ও সামনে,রাজমনি সিনেমা হলের পাঁচ দিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই সড়কে এবং বিজয়নগর ও সেগুনবাগিচা সংলগ্ন সড়কের এসব স্পটে ছিনতাই হয় না এমন দিন নেই বলে একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
ছিনতাইকারীরা কাউকে ধাক্কা দিয়ে, গায়ে থুথু ফেলার নাম করে, মামা-চাচা-আংকেল ডেকে এবং ইদানিং নতুন করে এরা রিকসা জোর-জবস্থি থামিয়েও ছিনতাই করছে। অনেক ক্ষেত্রে চক্রটি রিকসার সামনে পড়ে কিংবা রিকসার হাত ব্রেকে ইচ্ছেকৃত হাত ঢুকিয়েও ছিনতাই করছে।
জাতিরকন্ঠ সম্পাদক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ডিসি মতিঝিলকে জানালেও পল্টন থানার ওসি ঘটনাস্থলটি রমনা থানার সীমান্ত হওয়ায় কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।