কলাপাড়ায় মাছচোর:পুলিশ দর্শক!
কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সংঘবদ্ধ মাছচোরদের উৎপাতে বিভিন্ন প্রজেক্টের মালিক’রা এখন নিঃস্ব হতে চলেছেন। সকালে যে প্রজেক্টে মাছ কিলবিল করতো রাতের অাঁধারে সেই প্রজেক্টে মাছ শুন্য! পানি আছে মাছ নেই! রাতে পাহারা না থাকার সুবাদে মাছচোররা লুটিয়ে নিচ্ছে সব মাছ। বেশ কিছুদিন ধরে চলছে এ অবস্থা। চোরদের তান্ডবে নিঃস্ব হচ্ছেন মাছের খামারীরা।সর্বশেষ এ ধরনের ঘটনার শিকার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের ফতেপুর গ্রামের ম্যানার্স এগ্রো এন্ড ফিসারিজ এর মালিক প্রকৌশলী মো: সুমন মল্লিক। তাঁর মৎস্য প্রজেক্ট থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই, কাতলা মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
গত ১৩ অক্টোবর দিবাগত মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আ: রব হাওলাদারসহ গ্রাম গন্য-মান্য ব্যক্তি দের কছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে প্রজেক্ট পাশ্ববর্তী বাসিন্দা সোনা মিয়া হাওলাদার, আব্দুল মান্নান হাওলাদার, দেলোয়ার চকিদার, সামছু হাওলাদারসহ কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, পুকুরে অনেক মাছ ছিল।
এ বিষয়ে ম্যানার্স এগ্রো এন্ড ফিসারিজ এর মালিক প্রকৌশলী মো: সুমন মল্লিক অভিযোগ করে জানান, প্রজেক্ট পাশ্ববর্তী বিলে কিছুদিন যাবত রাতের অন্ধকারে গ্রামের কিছু লোক অসাধু চক্র জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরে থাকে, তাদের ভিতর থেকে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, চোরের জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ। স্থানীয় থানা পুলিশকে ঘটনা জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছেনা। তারা বলে মামলা করেন, কিন্তু মামলা করলে কি আমি লুন্ঠিত মাছ ফেরত পাব?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া খানার বিভিন্ন গ্রামের অনেক বাড়িতে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ও মূল্যবান মালামাল চুরি হচ্ছে। অনেকে থানায় জিডি করলেও মাল ফেরত পাচ্ছেন না এবং চুরিও কমছে না। রাতে থানা পুলিশের টহল না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে।স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে রাতে এলাকায় টহলের ব্যবস্থা করতে হবে।এলাকায় চুরি ডাকাতিরোধে ম্যানার্স এগ্রো এন্ড ফিসারিজ এর মালিকসহ স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফকরুল ইসলাম, মোঃ রাজ্জাক ও আবদুস ছালাম এধরনের চুরি, ডাকাতিরোধে স্থানীয় থানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।