• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কলমখেকো মোতালেবের দুর্দশা-


প্রকাশিত: ৮:১০ পিএম, ৩০ মে ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৩ বার


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশে প্রথমবারের মতো অপারেশন ছাড়াই এন্ডোস্কপির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জে মোতালেব হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের পেট থেকে বের করা হয় ১৫টি আস্ত কলম। এবার বের করা হলো আরও আটটি কলম। অস্ত্রোপচার ছাড়াই দুই দফায় মোট ২৩টি কলম বের করা হলো মোতালেবের পেট থেকে।মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসে বিনা অস্ত্রোপচারে রোগীর পেট থেকে এতগুলো আস্ত কলম বের করার ঘটনা এটিই প্রথম বলে দাবি ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর পেট থেকে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে একটি মোবাইল বের করেছিলেন চিকিৎসকরা।অসুস্থ রোগী মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানাধীন খুকনি আটারদাগ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। মোতালেব ৪-৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এসব কলম আস্ত গিলে খেয়েছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে তার পেট থেকে আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ আছেন। কাল থেকে তাকে মুখ দিয়ে খাবার দেওয়া হবে এবং ৪-৫ দিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার তার পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হয়। অসুস্থ মোতালেবের মা লাইলী বেগম বলেন, এক বছর ধরে আমার ছেলে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরও সে সুস্থ হয়নি। ১৫ দিন আগে সমস্যা আরও বাড়ে তার। তখন সে খেতে পারত না, খালি বমি করত। এ কারণে তাকে এ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আনার পর তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটের মধ্য থেকে কলমগুলো বের করে এনেছেন চিকিৎসকরা। তিনি আরও বলেন, ১২ বছর ধরে আমার ছেলে মানসিক রোগী। তাকে মানসিক চিকিৎসকও দেখানো হয়েছে। কলমগুলো সে না বুঝেই খেয়ে ফেলেছে।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিন তার পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হলেও সোমবার আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন সাফল্য এটাই প্রথম।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দেশে প্রথমবারের মতো অপারেশন ছাড়াই এন্ডোস্কপির মাধ্যমে এক যুবকের পেটের ভেতর থেকে ১৫টি আস্ত কলম বের করেছেন চিকিৎসকরা। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেন সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একদল চিকিৎসক।