করোনার থাবায় দেড় হাজার
মেডিকেল রিপোর্টার : দেশে করোনার থাবায় মারা গেলেন দেড় হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন আরো ৩৯ জন। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন
৩ হাজার ৫৩১ জন । এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৪৬৪ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ হাজার ৮৪ জন করোনা রোগী। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭১০টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮৫টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার ১৬৪ জন। রোববার (২১ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে ৪ হাজার ৮ জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।
এদিকে পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১০ জন। অপরদিকে সেরে উঠেছেন প্রায় ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ৫৪ হাজার ৫০৯ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।