• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কম্বোডিয়ান জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া ভুয়া ক্যাপ্টেন ঢাকায় পাকরাও


প্রকাশিত: ৯:২৯ পিএম, ২২ জানুয়ারী ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫২ বার

DSC02497শফিক আজিজ.ঢাকা:

ক্যাপ্টেন ও চীফ ইঞ্জিনিয়ার দুইজনই ছিল ভুয়া পরিচয়ধারী।এদের জাহাজ চালানোতো দূরের কথা সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরীরও কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। এদের মধ্যে ক্যাপ্টেন ক্লাস থ্রি পাস এবং ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার ইন্টারমেডিয়েট পাস। এরাই জাল জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন ও চীফ ইঞ্জিনিয়ার এর ভুয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে পাকাপোক্ত নাবিক বনে যায়।

এরপর চট্টগ্রামের একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে চাকরী বাগিয়ে নেয় কম্বোডিয়ার একটি জাহাজে।এরপর যথারিতী ওরা বিদেশে গিয়ে কম্বোডিয়ান জাহাজ মিং ওয়াং এ চাকরীতে যোগদান করে। এদের মধ্যে জাহাজের ক্যাপ্টেন পরিচয়ধারী মোস্তফা কামাল চট্টগ্রামের এক দালাল কথিত হাবিবের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরীটি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয় বলে জাতিরকন্ঠকে জানায়।
যাহোক সমুদ্রগামী জাহাজ চালানোর কোন অভিজ্ঞতা না থাকার পরও ওরা জাহাজ চালাচ্ছিল।কিন্তু মাস তিন পার হয়নি।ওদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায়।

wrong-ship-www.jatirkhantha.com.bdএকপর্যায়ে গত বছর ২৫ ডিসেম্বর ওরা ১৯০০ টন ক্যাপাসিটির জাহাজে ৩ হাজার টন স্ক্রাপ নিয়ে টোকিও বন্দর যাচ্ছিল। মাঝপথে সমুদ্রে ঝড় উঠলে ওরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  ফেলে এবং জাহাজটি একপর্যায়ে উল্টে সমুদ্রে ডুবে যায়। এতে সমুদ্র ডুবে ২ জন মারা যায়। মোস্তফা কামাল দুই দিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পর জাপানিজ কোস্টগার্ড তাকেসহ ১০জনকে উদ্ধার করে।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিউর রহমান ভূঁইয়া জানান, মোস্তফা কামাল ভুয়া যোগ্যতার সনদ ব্যবহার করে কম্বোডিয়ান জাহাজে ক্যাপ্টেন হিসেবে চাকরী গ্রহণ করেছিল।জাহাজটি জাপানি উপকূলে নিমজ্জিত হয়।

এ ঘটনার পর টোকিওস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসের কনসুলার বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে।তথ্যের ভিত্তিতে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর মোস্তফা কামাল এর ভুয়া যোগ্যতার সনদ নিশ্চিত করেন।পরে টোকিও’র বাংলাদেশী দূতাবাসের কনসুলার অফিসারের সহযোগীতায় ২২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে  মোস্তফা কামাল কে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে ফেরত আনা হয়।

wrong-ship-www.jatirkhantha.com.bd-1বিকেলে তাকে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মেরিন আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মোস্তফা কামাল কে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মেরিন আদালতের পিপি মিসেস পারভিন সুলতানা জাতিরকন্ঠকে জানান, মোস্তফা কামালদের মত জাল সনদধারীরা দেশ ও জাতির কলংক।এ ধরনের জাল সনদধারী চক্র ও গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা প্রয়োজন।

এটা না হলে প্রকৃত সনদধারী নাবিকরা বিদেশে চাকরী পেতে নানা ধরনের সমস্যায় পড়বে এবং দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি বলেন, মোস্তফা কামালদের মত প্রতারকদের পুলিশে সোপর্দ করে রিমান্ডে নেয়া হলে প্রকৃত চক্র ও জালিয়াতদের পাকরাও করা যেত।
কিন্তু মোস্তফা কামালকে মতিঝিল থানায় এজাহার দিয়ে পাঠালেও থানার ওসি ৪২০ ধারায় মামলা গ্রহণ করেননি।