কমিটি গঠন নিয়ে চাঁদাবাজি-ধান্ধাবাজি-কোন্দলে খুন বিএনপি নেতা বাবুল সর্দার
সাইফুল বারী মাসুম : কমিটি গঠন নিয়ে ধান্ধাবাজি ও দলীয় কোন্দলে শেষমেষ খুন হলো বিএনপি নেতা বাবুল সর্দার। রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উল্টো দিকে প্রতিপক্ষ বিএনপি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে বাবুল সর্দার মরার যান। আজ রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সূত্র জানায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার রোগমুক্তি কামনায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা শ্রমিক দল। কর্মসূচি শেষে কার্যালয়ের উল্টো দিকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভাসানী ভবনের সামনে শ্রমিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
এতে শ্রমিক দলের ধানমন্ডি শাখার সাবেক সভাপতি বাবুল সর্দার এবং সাধারণ সম্পাদক আবু কায়সার ভূঁইয়া আহত হন। দুজনেরই মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বাবুলের মাথার বিভিন্ন জায়গায় হামলাকারীরা কোপ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত বাবুল সর্দারকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতাল ও পরে সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বাবুল সর্দারকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। বাবুল সর্দারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
বিএনপির সূত্র বলছে, ধানমন্ডি থানা শ্রমিক দলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। তাই কেন্দ্র ওই কমিটিকে অনুমোদন দেয়নি। ওই ঘটনার জেরেই আজ বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানান, ধানমন্ডি শাখায় কমিটি গঠন নিয়ে ওই এলাকায় মতবিরোধ ছিল। এ জন্য একটি কমিটি হলেও তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আগের কমিটিই বহাল রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আহত দুজনের মধ্যে বাবুল সর্দারের মাথায় আঘাত লেগেছে। অত্যধিক রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
বাবুল সর্দারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে পল্টন থানার ওসি জানান, ঘাতকদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।শিগগির ঘাতকদের পাকরাও করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। রাত ১১টা পর্যন্ত এই ঘটনায় পল্টন থানায় কোনো মামলা হয়নি।