• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কবি ফরহাদ মজহার কে মাগুরা/ ফরিদপুর অঞ্চলে নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা”


প্রকাশিত: ৫:১৫ পিএম, ৩ জুলাই ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  এদিকে কিছুক্ষণ আগে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, কবি ফরহাদ মজহার এর মোবাইল ট্রাকিং করে তথ্য মিলেছে যে, fmazhar.www.jatirkhantha.com.bdতাঁকে মাগুরা বা ফরিদপুর অঞ্চলে নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা” । পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতিরকন্ঠ কে বলেন, ফরহাদ মজহারের তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতার তাঁদের কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন যে ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী তিনি তাঁর স্ত্রীকে আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বলেছেন।

বিপ্লব কুমার বলেন, ফরহাদ মজহারের বাড়ির সামনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ভোর ৫টা ৫ মিনিটে স্বাভাবিক পোশাক পরে তিনি হেঁটে বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, তিনি সাধারণত ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। অত ভোরে তিনি বাসা থেকে বের হন না। তিনি সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ১০টার পরেই বাসার বাইরে যান। কিন্তু তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার পর ৫টা ২৯ মিনিটে তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে মেরে ফেলবে।’

বিপ্লব কুমার বলেন, ‘আমরা ফরহাদ মজহারের ফোন ট্র্যাক করে জানতে পেরেছি, কখনো তাঁর অবস্থান আরিচা, ফরিদপুর বা কখনো মাগুরায়। ওনার লোকেশন পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা তাঁকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

ফরহাদ মজহারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানান, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাঁর স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে ফরহাদ মজহারকে কম্পিউটারে কাজ করতে দেখেন। এরপর তিনি পাঁচটার দিকে আবার উঠে দেখেন, তিনি কম্পিউটারের টেবিলে নেই। এরপর তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন।

সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীচক্রের কবলে কবি-

এরআগে স্বজনরা জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে নিচে আসতে বলে। তিনি বাইরে বের হলে তারা তাকে অপহরণ করে। তিনি ৫.২৯ মিনিটে একটি অপরিচিত ফোন থেকে তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহৃতরা তার কাছে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করেছে।

বেলা ১২টার দিকে আবারো ফরহাদ মজহার ফোন করে তার স্ত্রীকে জানান, তাকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফরহাদ মজহারের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার ভোরে মোহাম্মদপুর আদাবরের ‘হক গার্ডেন’র নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণ করা হয়।

আদাবর থানার ডিউটি অফিসার আলেয়া বেগম জাতিরকন্ঠকে জানান, ভোর পাঁচটা ছয় মিনিটের দিকে নিজ ফ্ল্যাট থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। পরে কবির নম্বর থেকে বেশ কয়েকদফা ফোন করে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়। কবিকে ছাড়তে মুক্তিপণও চাওয়া হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে ফরহাদ মজহারের অপহরণের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ আদাবর থানার পুলিশ সদস্যরা কবির ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন। এসময় কবির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

তাকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান এখনও তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলা যায় না। তবে আমরা তাকে ট্রেস করার চেষ্টা করছি। তাকে উদ্ধারের পরেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।

এদিকে কবির পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোর ৫টা ২৯ মিনিটের দিকে কবি তার স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন করে বলেন ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার ফোন থেকে আবারও ফোন করে ফরিদা আখতারের কাছে ৩৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়।

এভাবে কয়েক দফা ফোন করে টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। না পেলে তার প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।তবে বিষয়টিকে কবির পরিবারের সদস্যরা নিছক অপহরণের ঘটনা মনে করছেন না বলে জানান কবি পরিবারের এ ঘনিষ্ঠ সূত্র। এর পেছনে অন্য কোনো স্বার্থও থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।