• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কবি ফরহাদ মজহার কিডন্যাপ-সন্ত্রাসীরা চায় ৩৫ লাখ টাকা !


প্রকাশিত: ৪:৪৪ পিএম, ৩ জুলাই ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬২ বার

স্টাফ রিপোর্টার  :  সংঘবদ্ধ অপহরণকারী সন্ত্রাসীচক্রের কবলে পড়েছেন বিশিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী কবি ফরহাদ মজহার। কিডন্যাপকারীরা তাঁর মুক্তির বিনিময়ে ৩৫ লাখ মুক্তিপণ দাবি করেছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একদল লোক তাকে অপহরণ করে বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

স্বজনরা জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে নিচে আসতে বলে। তিনি বাইরে বের হলে তারা তাকে অপহরণ করে। তিনি ৫.২৯ মিনিটে একটি অপরিচিত ফোন থেকে তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহৃতরা তার কাছে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করেছে।

বেলা ১২টার দিকে আবারো ফরহাদ মজহার ফোন করে তার স্ত্রীকে জানান, তাকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফরহাদ মজহারের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার ভোরে মোহাম্মদপুর আদাবরের ‘হক গার্ডেন’র নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণ করা হয়।

আদাবর থানার ডিউটি অফিসার আলেয়া বেগম জাতিরকন্ঠকে জানান, ভোর পাঁচটা ছয় মিনিটের দিকে নিজ ফ্ল্যাট থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। পরে কবির নম্বর থেকে বেশ কয়েকদফা ফোন করে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়। কবিকে ছাড়তে মুক্তিপণও চাওয়া হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে ফরহাদ মজহারের অপহরণের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ আদাবর থানার পুলিশ সদস্যরা কবির ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন। এসময় কবির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

তাকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান এখনও তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলা যায় না। তবে আমরা তাকে ট্রেস করার চেষ্টা করছি। তাকে উদ্ধারের পরেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।এদিকে কবির পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোর ৫টা ২৯ মিনিটের দিকে কবি তার স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন করে বলেন ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার ফোন থেকে আবারও ফোন করে ফরিদা আখতারের কাছে ৩৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়।

এভাবে কয়েক দফা ফোন করে টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। না পেলে তার প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।তবে বিষয়টিকে কবির পরিবারের সদস্যরা নিছক অপহরণের ঘটনা মনে করছেন না বলে জানান কবি পরিবারের এ ঘনিষ্ঠ সূত্র। এর পেছনে অন্য কোনো স্বার্থও থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।