কবি ফরহাদ মজহার অপহরণ রহস্যাবৃত?আদালতে জবানবন্দী দিচ্ছেন-
বিশেষ প্রতিনিধি/ কোর্ট রিপোর্টার : বিশিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী কবি ফরহাদ মজহার অপহরণ রহস্য এখনও কাটেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ বলছে উনি নাটক সাজিয়েছেন। কিন্তু পরিবার বলছে সংঘবদ্ধ চক্র তাঁকে অপহরণ করেছিল-উনি নাটক সাজাবেন কেন?
এদিকে নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগর থেকে উদ্ধার হওয়া কবি, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নেয়া হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার পর তাকে আদালতে নেয়া হয়।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টার দিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ফরহাদ মজহারকে আদালত নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহারের স্ত্রী’র করা জিডি অনুযায়ী ভিকটিম হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হবে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফরহাদ মজহারকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ডিবির এই যুগ্ম কমিশনার।এর আগে সোমবার ভোর ৫টার পর শ্যামলির নিজ বাসা থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সোমবার রাত ১১টার দিকে যশোরেরে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। পরে তাকে স্থানীয় অভয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই কড়া প্রহরায় তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকাল ৯টায় যশোর থেকে ফরহাদ মজহারকে প্রথমে ঢাকার আদাবর থানায় পরে সেখান থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এদিকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর সোমবার রাত ১টার দিকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি ঢাকা থেকে স্বেচ্ছায় খুলনায় ভ্রমণ করেন। দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসসহ তার সঙ্গে ব্যাগপত্র ছিল। তবে এখনই এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তাকে ঢাকায় এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশের এ দাবি নাকচ করে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘বাসার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে তারা দেখেছেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতে কোনো ধরনের ব্যাগপত্র ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, উদ্ধারের পর ফরহাদ মজহার পরিবারকে জানিয়েছেন- ‘সন্ধ্যার পর তার চোখের বাঁধন খোলা হয়’।