• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কপাল ফেরাতে খালেদার ধর্ণা হিন্দু গুরুর কাছে-


প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ১ জানুয়ারী ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮২ বার

khaladAa-robisankor-www.jatirkhantha.com.bdশংকর সাওজাল:   ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূত ও আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের দ্বারস্থ হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খের কলকাতা এডিশনে বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরতে আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বর্তমানে বিএনপি দলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শাসক দল আওয়ামী লীগের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং ‘৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে কোণঠাসা। শেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। যার ফলে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরোধী দলের তকমাও হারিয়েছে। এছাড়া মৌলবাদী দল জামাতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জোট প্রবল ভারত বিরোধিতার জন্য বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতের প্রভাবশালী ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ‘আর্ট অব লিভিং ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করছেন। সারা দুনিয়ায় কয়েক লক্ষ অনুগামী রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয় বিভিন্ন কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জঁন্য তার কাছ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা মতামত নিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও তিনি ঘনিষ্ঠ। যদিও শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর কখনই প্রকাশ্যে নিজেকে কোনও রাজনৈতিক রঙে আবদ্ধ রাখতে চাননি।

ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এটাও বলে থাকেন, তিনি কোনও দল বা ব্যক্তির হয়ে কাজ করেন না। তিনি ভারতের যাতে মঙ্গল হয় তার জন্যই কাজ করেন। আর ঠিক এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর উপর আস্থা রাখেন। সম্প্রতি নেপালের সংকটে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। নেপাল সীমান্তে লাগাতার অবরোধের ঘটনায় যখন দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল ঠিক তখনই নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমল থাপা বেঙ্গালুরুতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। আর অদ্ভুতভাবে যে দাবিতে আন্দোলন চলছিল নেপালে সেই সংবিধানের সংশোধনী করা হয় দেশটির পার্লামেন্টে। শুধু তাই নয় উলফার কট্টরপন্থীদের সঙ্গেও মধ্যস্থতা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি এমনটাও জানা গিয়েছে। এর আগে তিনি বারে বারে ছুটে গিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বংস্ত ইরাকে।

বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা তাঁর সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির অবস্থান তাঁরা জানিয়েছেন গুরু রবিশঙ্করকে। এর পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে তাঁরা যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান খালেদা জিয়ার সেই বার্তাও তাঁরা জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় এই নয়া বার্তায় কেন্দ্রীয় সরকার কতখানি সাড়া দেয়।’khaladAa-robisankor-www.jatirkhantha.com.bd