সোয়া দুই কোটি শুল্ক ফাঁকি-মুদ্রাপাচার-প্রিন্স মুসা বিন সমসের সাইজ-
এস রহমান : ব্যবসায়ী ও কথিত প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে বিলাসবহুল গাড়িতে ২.১৭ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে ৯৬ হাজার কোটি টাকার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের কারণে শুল্ক গোয়েন্দা আজ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে।
মামলাটি গুলশান থানায় দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর – ২৮, তারিখ: ৩১/০৭/২০১৭। মামলার বাদি শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন। মামলাটি শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক তদন্ত করা হবে।
এর আগে শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভোলা বিআরটিএ-র কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
প্রিন্স মুসা ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দেখিয়ে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই গাড়িতে ২.১৭ কোটি টাকার শুল্ক কর জড়িত।
শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। কিন্তু তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।
প্রিন্স মুসার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দা অভিযান চালিয়ে গত ২১ মার্চ, ২০১৭ তারিখে রেঞ্জ রোভারটি আটক করে। গাড়িটি কার্নেট সুবিধায় আনা হয়েছিল। তবে এই সুবিধার অপব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ভূয়া শুল্ক পরিশোধের কাগজ দিয়ে গাড়িটি মুসা বিন শমসের ব্যবহার করছিলেন।
এর আগে শুল্ক গোয়েন্দা এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকির মামলা দায়ের করেছিল। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।