কক্সবাজারে ‘পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার ফোরাম ২০১৬’ সম্মেলন
ট্যুরিজম রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি ইস্যুতে অর্জিত হয়নি পর্যটন খাতের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা। যদিও ২০১৬ সালকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠছে দেশের পর্যটন খাত। আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বৃহৎ ইভেন্ট ‘পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার ফোরাম ২০১৬’ সম্মেলন।
এতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নীতি নির্ধারক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমসহ প্রায় ২০০ জন অতিথি অংশ নেবেন। রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় পর্যটন বোর্ড।
মিন্টো রোডে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সভাকক্ষে ‘পাটা এনটিএফএফ-২০১৬’ উপলক্ষে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পযর্টনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সময় সম্মেলনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বৃহৎ ইভেন্ট ‘পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার ফোরাম ২০১৬’ সম্মেলন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে ২৪-২৫ নভেম্বর দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন।
বেসামরিক বিমান ও পযর্টনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বছরে শুরুতে বিদেশি হত্যা ও মাঝামাঝি সময়ে হলি আর্টিজানে হামলার পর বাংলাদেশের তো ট্যুরিজম ম্যাপ থেকে বাদ পড়ার অবস্থা হয়েছিল। পাটার এনটিএফএফ কনফারেন্স আয়োজনের মাধ্যমে পযর্টন শিল্প বিকাশে একটা বড় সুযোগ পাচ্ছি। এই ইভেন্ট দুই দিক থেকে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে, বাংলাদেশ ট্যুরিজমের নিরাপদ ও সব ধরনের আন্তজার্তিক ইভেন্ট আয়োজনে সক্ষম তা প্রমাণ করা। এ মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য এনটিএফএফের সফল আয়োজনের মাধ্যমে পাটার সবচেয়ে বড় ইভেন্ট ‘পাটা ট্রাভেল মার্ট’ বাংলাদেশে আয়োজন করা। তাহলে এটা হবে বড় ব্রেক থ্রো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির। তিনি বলেন, পাটা এনটিএফএফ কনফারেন্স কক্সবাজারে রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। এতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নীতি নির্ধারক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমসহ প্রায় ২০০ জন অতিথি অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের প্রথম দিন টেকনিক্যাল ট্যুর ও ট্যুরিজম মার্কেটিং ট্রেজার হান্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কক্সবাজারের আবিষ্কৃত ও অনাবিষ্কৃত পর্যটন আর্কষণ খুঁজে বের করবে। দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন সেশনে টেকনিক্যাল ট্যুরের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এ সেশন থেকে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্যাস্টেনেবল অ্যান্ড রেসপনসিবল কোস্টাল ট্যুরিজম ডেসটিনেশন হিসেবে তুলে ধরার কৌশল বের করা হবে। এছাড়া সম্মেলনে আগত বিদেশি অতিথিদের সামনে বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবার ও আতিথেয়তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এনটিএফএফ-২০১৬ সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।