ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাকানি চুবানি দিয়ে হারানোর প্রত্যয় মিরাজদের
সাইফুল বারী মাসুম : এবার ফাইনালের স্বপ্ন যুবাদের।সেই ধবলধোলাই খাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার নাকানি চুবানি দিয়ে এবার হারানোর প্রত্যয় মিরাজদের।এলক্ষ্যে লড়ছে তারা।
গত মাসেই তো দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ।
মিরাজদের চাওয়া পূর্ণ হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। আজ ফতুল্লায় পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ক্যারিবীয় যুবারা।
বিতর্কিত ‘মানকাড’ রান আউটে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটা নিয়ে কম হইচই হয়নি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিল, যোগ্য দল হিসেবেই তারা উঠে এসেছে সেমিফাইনালে। পাকিস্তানের দেওয়া ২২৮ রানের লক্ষ্যটা ১০ ওভার হাতে রেখে হেসেখেলেই পেরিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ছয় ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ার আগে ৪৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচটা নিজেদের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান টেভিন ইমলাখ ও শিমরন হেটমায়ার।
দুজনের ৭৭ রানের জুটিতে ইমলাখ করেছেন ৫৪, হেটমায়ার ৫২। ১২২ থেকে ১৪৭-এই ২৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে অবশ্য একটু বিপদে পড়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শামার স্প্রিঙ্গার ও জাইড গুলি বিপদ হতে দেননি। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৫৩ রানের জুটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেছে। স্প্রিঙ্গার ৩৭ রানে আউট হয়ে গেছেন। পরে কিমু পলকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন গুলি।
অথচ পাকিস্তানের ইনিংস শেষে ২২৫ রানটাই অনেক বড় মনে হচ্ছিল। ৫৭ রানেই যে দলের ৫ উইকেট পড়ে যায়, তাদের এত দূর যাওয়া তো কম কথা নয়। সেটার জন্য বেশির ভাগ কৃতিত্বই পাবেন উমাইর মাসুদ। ছয়ে নেমে ১১৪ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তানের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ষষ্ঠ উইকেটে সালমান ফাইয়াজের সঙ্গে মাসুদের ১৬৪ রানের জুটিটাই ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু কে জানত, ইনিংস শেষে মাসুদের হাসিটা ম্যাচ শেষে মুছে যাবে ? ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও নিশ্চয় তাঁর কাছে এখন শুধু সান্ত্বনাই মনে হবে!