• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ওরাই জিতবে:বেঈমান থেকেসতর্ক হলে!


প্রকাশিত: ৮:৫৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬২ বার

শফিক রহমান : এবার কে জিতবে ৩০ ডিসেম্বর এর ভোটে? নস্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি না আগুন সন্ত্রাস নামধারী জোট! ভোটের এখনও দেড় মাস বাকি থাকলেও ইতিমধ্যে ডামাডোল শুরু হয়ে গেছে। চলছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা!! সবাই বলছে ”ওরাই জিতবে”? কিন্তু কে জিতবে তা আল্লাই’ই নির্ধারণ করে রেখেছেন। কিন্তু সবাই বলছে ”ওরাই জিতবে”? কিন্তু এই ‘ওরা’ রা কারা ? তানিয়ে নানা মুনির নানা মত। বলা হচ্ছে ”ওরা” মন্দের ভালো-ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়ে গেছে ‘ওরা’ ।

বলা হচ্ছে আর আগুন সন্ত্রাস’দের দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিলে দেশ রসাতলে যাবে। দেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে-এটা বলাই বাহুল্য। এখন এর লাগাম আরো দূর্বার গতিতে চুটে দেয়া দরকার। সেজন্য নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে যে পস্তাতে হবে এটা দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন। কিন্তু তারপরও আগুনে পোড়া গরু আগুন দেখলেই ভয় পায়-অবস্থা এমন’ই।

যিনি নিজের জীবন তুচ্ছ করে বাগান সাজিয়ে রেখে ভোট করছেন তিনি ফুল তুললে না পারলে তো সবাইকে পস্তাতে হবে; এটাই এখন স্বাধীনতা স্বপক্ষের সব শক্তির চিন্তা।কারণ সব অপশক্তি এখন নির্বাচনের মাঠে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনী ট্রেন।এর মাঝে হঠাৎ এই ট্রেনে আগুন ছুড়ে দিয়েছিল সেই আগুন সন্ত্রাস শক্তি। কিন্তু পারেনি। ট্রেন এগিয়ে গেছে-!অপশক্তির এই আগুনে মানুষের বোধশক্তি একটু একটু করে ফিরছে। মানুষ ভাবছে-ওরাই ভালো-!

ভোটাররা বলছেন, ২০০৯ সাল থেকে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারো জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে ধরে রাখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। এসময় বিশ্বব্যাপী মন্দা থাকা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রেখে দেশকে মধ্যম আয়ের মর্যাদায় উন্নীত করেন মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালের ৫৪৩ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬১০ ডলারে উন্নীত হয়।

দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে হ্রাস পায়। দেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বৈদেশিক বিনিয়োগ হয় প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।মমতাময়ীর ছোঁয়ায় দেশে ১৩ কোটি মোবাইল সীম ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি’র আকার ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ৩৪ দশমিক আট-পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক চার-আট বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ৩৩ দশমিক চার-চার বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

২০১৭ সালে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ১৩০ জনের। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।যাহোক ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, এরপর যাচাই-বাছাই এবং ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের পরই আনুষ্ঠানিক ভোটের দামামা। তার আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শিবিরে নির্বাচনী হাওয়া এতটা জোরেশোরে বইতে শুরু করেছে-।

কে জিতবে ৩০ ডিসেম্বর! জাতীয় সংসদ বহাল রেখে সব দলের অংশগ্রহণে এ সংসদ নির্বাচন কমিশনের কাছেও যেমন প্রথম তেমনি নির্বাচনকালীন দলীয় সরকারের নয়া চ্যালেঞ্জ? কে জিতবে এই চ্যালেঞ্জে সেটাই ঠিক করবে ভোটার’রা। তবে ভোটাররা বলছেন, ওরাই জিতবে-তবে বেঈমান থেকে সাবধান থাকতে হবে।