ওমরায় সৌদিতে মানবপাচারকারী অভিযুক্ত ১০৪ হজ এজেন্সির বিচার শুরু ১ সেপ্টেম্বর
এস রহমান.ঢাকা: সৌদি আরবে ওমরার নামে মানবপাচারকারী অভিযুক্ত ১০৪ হজ এজেন্সিকে অবশেষে বিচারের মুখোমুখি করছে সরকার।আগামী এক সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই বিচার কার্যক্রম। ওমরা শেষে নিজেদের লোক দেশে ফিরেছে এমন তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে হবে,অভযুক্ত ১০৪ হজ এজেন্সিকে।
সূত্র জানায়, ওমরার নামে মানবপাচারের অভিযোগে সৌদি সরকার কর্তৃক উত্থাপিত বাংলাদেশের ১০৪ হজ এজেন্সিকে তলব করেছে আন্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। প্রথম দফায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর ৫২ এবং ৩ সেপ্টেম্বর ডাকা হবে বাকী ৫২ এজেন্সিকে।
ওমরা শেষে নিজেদের লোক দেশে ফিরেছে এমন তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে হবে, অন্যথায় মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে অভিযুক্ত ১০৪ এজেন্সিকে। কয়েকদিনের মধ্যেই এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হবে বলেও কর্মকৌশল ঠিক করে এগুচ্ছে কমিটি।
ধর্মমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম বৈঠকে তদন্তকাজের এমন কর্ম কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। বেলা এগারোটার দিকে প্রথম বৈঠকে বসে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি ।কমিটির প্রধান ধর্মমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো.শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠক চলে দুপুর একটা পর্যন্ত।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (হজ) নাসির উদ্দিন আহমেদ, কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কাজী নাজির হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের একান্ত সচিব (পিএস) ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। তবে দেশের বাইরে থাকায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নায়েব আলী মণ্ডল বৈঠকে ছিলেন না।
কমিটির প্রধান মো. শহিদুজ্জামান বলেন, সৌদি সরকার কর্তৃক উত্থাপিত দেশের ১০৪ এজেন্সির বিরুদ্ধে ওমরার নামে মানবপাচারের যে অভিযোগ উঠেছে তা থেকে নির্দোশ প্রমাণের জন্য এজেন্সিগুলোকে তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হতে হবে। অভিযুক্ত এসব এজেন্সি ওমরা করতে যাদেরকে সৌদি আরব পাঠিয়েছিল তারা দেশে ফিরেছে- এমন তথ্য প্রমাণ দেখাতে হবে তদন্ত কমিটির কাছে।
অনলাইনেও খতিয়ে দেখা হবে আসলে তারা দেশে ফিরে এসেছে কিনা।তিনি বলেন, আমরা আজ প্রথম বৈঠক শেষ করেছি। দুই দফায় দুই ভাগে চলবে এই তদন্তকাজ। প্রথম দফায় আগামী ১ সেপ্টের ৫২ এবং ৩ সেপ্টেম্বর ডাকা হবে বাকী ৫২ এজেন্সিকে।
এর আগে ওমরা হজের নামে মানব পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে ধর্মমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. শহিদুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আন্তমন্ত্রণালয়ের গঠিত এ কমিটিকে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।