• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

ওছিয়ত বলে এরশাদের সমাধি হবে রংপুরে


প্রকাশিত: ১০:৫৭ পিএম, ১৪ জুলাই ১৯ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৭ বার

 

রংপুর প্রতিনিধি : ওছিয়ত বলে এরশাদের সমাধি হবে রংপুরে। এর কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রংপুরের বাসভবন পল্লীনিবাসে নিজের সমাধি করার জন্য ওছিয়ত করেছিলেন। আমরা রংপুরবাসী এরশাদের সমাধিকে আঁকড়ে ধরেই তার জীবন-দর্শন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমাধি হয় জাতীয় নেতাদের পাশে করতে হবে নয়তো রংপুরের মাটিতেই হবে।

এই দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। রবিবার সাড়ে ১১টায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রধানের ওছিয়তের তথ্য তুলে তার শেষ ইচ্ছে পূরণে জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগ, জেলা ও মহানগরসহ সহযোগি অঙ্গসংগঠন এবং রংপুরবাসীর পক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘মৃত্যু একটি প্রকৃতির নির্ধারিত নিয়ম। যা কখনো খণ্ডানো যায় না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যার পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। তার সমাধি কোথায় হবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র দাবি স্যারের ওছিয়তকৃত স্থান পল্লীনিবাসে সমাধি করতে হবে।’

দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এরশাদ স্যার অসুস্থ শরীর নিয়ে সবশেষ এবছরের মার্চে রংপুরে এসেছিলেন। তিনি নিজেই বলে ছিলেন আমার শরীর ভালো নেই। আমি যে কোন সময় মৃত্যুবরণ করতে পারি। তোমরা আমার ডিজাইনে পল্লীনিবাসে আমার সমাধি কমপ্লেক্সে করিও। আমি মৃত্যুর পরও তোমাদের মাঝে থাকতে চাই।এ সময় মোস্তাফিজার রহমান আরো বলেন, ‘স্যার অসুস্থ থাকার কারণে ওই ডিজাইন সম্পর্কে জনসম্মুখে বলতে পারেননি। সে কারণে আজ তার সমাধি কোথায় হবে, তা আলোচনা চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এস.এম.ইয়াসির, আসিবুল ইসলাম জয়, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দুল বারী, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা তোফাজ্জল হোসেন তোফা, মহানগর শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাজু আহম্মেদ,মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম জবা ও যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন সুমন প্রমুখ।

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচএম এরশাদ রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ৪ জুলাই থেকে সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।