ঐতিহাসিক টেস্ট জয়-সাবাশ বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার : সাবাশ বাংলাদেশ, ঐতিহাসিক টেস্ট জয় করলো টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে একমাত্র টেস্টে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় দুই ইনিংসেই ব্যাটে-বলে অপ্রতিরোধ্য ছিল টাইগাররা। আর তাতেই সফরকারীদের বিপক্ষে রচিত হলো অনন্য এক জয়ের উপাখ্যান। টাইগারদের দেয়া ৬৬২ রানের হিমালয়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আর তাতেই এলো স্বাগতিকদের ৫৪৬ রানের রেকর্ড ভাঙা জয়।
বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার প্রায় ২৩ বছর ও ১৩৮ টেস্টের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় রানের জয়। সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শ বছর ও আড়াই হাজার টেস্টের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে কেবল মাত্র ২টি। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানে জেতে ইংল্যান্ড। ছয় বছর পর ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেটে গত ৮৯ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড।
শনিবার (১৭ জুন) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে দুই উইকেটে ৪৫ রানে খেলার শুরতেই নাসির জামালকে হারায় সফরকারীরা। আফসার জাজাইও স্লিপে মিরাজের ক্যাচ হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। এরপর শরিফুলের আরেক ওভারেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কনকাশন বদলি হিসেবে নামা বাহির শাহ।
স্কোরবোর্ডে ৭৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় আফগানরা। এরপর তাসকিন আহমেদ বোলিংয়ে ফিরতেই খেই হারিয়ে ফেলে আফগান ব্যাটাররা। থিতু হয়ে ৩০ রানে থাকা রহমত শাহকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। উইকেট মেডেন দেয়া তাসকিন নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন করিম জানাতের স্টাম্প। তাসকিনের ড্রিম ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প উঠে যায় ১৮ রান করা করিম জানাতের। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম উইকেটে পরিণত হন আমির হামজা।
বিশ্বরেকর্ড গড়া জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল দুই উইকেট। বল হাতে তাসকিন আহমেদ এসেই ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন ইয়ামিন আহমদজাইকে। ওভারের ৪র্থ বলে লেগ বিফোরের আউট হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান জহির খান। পরের বলে বোল্ড করে ফাইফার পূর্ণ করার আনন্দেও মাতেন তাসকিন। তবে এ যাত্রায়ও নো বলের নাটকীয়তাই বেঁচে যান জহির। তবে তাসকিনের শেষ বলে হাতে আঘাত পেয়ে জহির মাঠ ছাড়লে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশ পায় ঐতিহাসিক জয়।