• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

এয়ারটেলের সিম নিবন্ধনে ঘাপলা-ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা


প্রকাশিত: ২:১৪ পিএম, ২ জুন ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

সাইফুল বারী মাসুম   :   এয়ারটেলের সিম নিবন্ধনে রহস্যজনক ঘাপলায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা গত দু’দিন airtel-dhanmondi-www.jatirkhantha.com.bdধরে কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।ক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন,  বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করার পরও কিছু সিম বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনেক গ্রাহক এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এয়ারটেলকে জানালেও তারা কোন প্রতিকার পাননি।উল্টো এয়ারটেল পুলিশ এনে গ্রাহকদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিশেষ করে এয়ারটেলের অসংখ্য গ্রাহক তাদের সিম বন্ধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

আজ সকালে এ অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেলের কাস্টমার কেয়ারে জড়ো হয়েছেন প্রায় শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে ওই কাস্টমার কেয়ারের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গ্রাহক জাতিরকন্ঠকে জানান, নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে সেই অপারেটরের নম্বরে এসএমএস করেও নিবন্ধনের বিষয়টি জেনেছেন।

কিন্তু আজ সকাল থেকে অসংখ্য সিম বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকে নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের একটিমাত্র সিম তারা এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এয়ারটেলের পক্ষ থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোম্পানির ওয়েবপেজে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে কয়েকটি এলাকার নাম দিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, অনিবন্ধিত সিমগুলো পুরোপুরি অকার্যকর না করায় আরো তিন থেকে চারদিন ইনকামিং কল চালু থাকবে। তবে অপারেটর ভেদে ইনকামিং কল চালু থাকার মেয়াদও ভিন্ন।

বিটিআরসি সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছিল, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জুন শূন্য ঘণ্টা থেকে অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত শুধু আউটগোয়িং কলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।

গত রোববার টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছিলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো নতুন করে কিনতে পারবেন দুই মাসের মধ্যে। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সুযোগ পাবেন ১৮ মাস পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা যদি তাদের সিম নম্বর কিনে না নেন তবে মোবাইল অপারেটররা অনিবন্ধিত সিম বিক্রি করে দিতে পারবে।

বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, বন্ধের ১৫ মাস এবং পরবর্তীতে আরও তিন মাসের মধ্যে নোটিশ দিয়ে ক্রেতা সাড়া না দিলে সিমের মালিকানা বিক্রি করতে পারবে অপারেটরগুলো। এক্ষেত্রেও সে নিয়ম প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ১ জুন থেকে অনিবন্ধিত সিম ব্যবহার করতে চাইলে নির্ধারিত ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে সিম পুনঃনিবন্ধন করতে হবে।

উল্লেখ্য, বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের জন্য প্রথমে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তারিখ বেধে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় আসার ঠিক ১ দিন আগে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়েছিল, এই মেয়াদ আরো এক মাস বাড়ানো হয়েছে। ৩১ মে সিম পুনঃনিবন্ধনের শেষ সময় ছিল।