এস পি বাবুলের স্ত্রী’র খুনীচক্রের প্রটেকশনে সন্দেহজনক মাইক্রোবাস চালকসহ আটক
সাইফুল বারী মাসুম : এস পি বাবুলের স্ত্রী খুনের নয়া মোটিভ মিলেছে।তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে এসপির স্ত্রী হত্যাকারীদের প্রটেকশনে ব্যবহৃত একটি সন্দেহজনক মাইক্রোবাসকে চালকসহ আটক করেছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের ধারনা জামায়াত শিবির জঙ্গিদের চক্রটি মাইক্রোবাসটিতে অবস্থান করছিল।
চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যার ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর পেছনে থাকা সন্দেহে চালকসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে কবে কোথায় থেকে চালকসহ মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে তা পুলিশ জানায়নি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার আজ বুধবার রাতে বলেন, চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটি ঘটনার দিন খুনিদের সহযোগী হিসেবে বা সাহায্য করা হয়েছিল কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পর কাল বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। কোথা থেকে কবে চালকসহ মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে এ ব্যাপারে মো. ইকবাল বাহার কিছু বলেননি।
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যায় জড়িত সন্দেহে শিবিরের সাবেক এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আবু নছর ওরফে গুন্নু (৪৫)। তিনি শিবিবের সাবেক কর্মী। তাঁকে আজ ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, খুনীচক্র পুলিশের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীকে লক্ষ্যবস্তু কেন করেছিল সেই সূত্র ধরেই তারা কাজ করছে। এতে সন্দেহজনক রয়েছে খুনীচক্রকে প্রটেকশন দেয়া মাইকোবাসটিও।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই খুনের তদন্তের মূল দায়িত্বে গোয়েন্দা পুলিশ থাকলেও তাদের র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই) তদন্তে সহায়তা করছে। সিটিআইয়ের উপকমিশনার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল এরই মধ্যে চট্টগ্রামে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
গত রোববার সকাল সাতটায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় সোমবার বাবুল আক্তার হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, খুনিদের মোটরসাইকেলের পেছনে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস চলে গেছে। সেই মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। নগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ভিডিওচিত্র দেখে মনে হচ্ছে মাইক্রোবাসটি খুনিদের সহায়ক হিসেবে ছিল। খুনিরা আক্রান্ত হলে গাড়িটির সাহায্য নিত।