এস কে এন্টারপ্রাইজের ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ-ফুড সাপ্লিমেন্ট জব্দ
বিশেষ প্রতিনিধি.ঢাকা: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পুরানা পল্টনের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধার অভিযানের তিন দিন পরও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।আজ রোববার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা একটা বড় মিটিংয়ে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা ইনফরমেশন পেয়ে আমি আমার দল পাঠাই। অভিযানে এস কে এন্টারপ্রাইজের একটি গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ আমদানিনিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়। তাড়াহুড়োয় অভিযান পরিচালনা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ম্যাজিস্ট্রেট ডাকতে পারিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’
জব্দ করা ওষুধের মধ্যে আছে ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ ও ফুড সাপ্লিমেন্ট। এগুলো হলো স্পেনের ক্যাপসুল এমিক্যাপ ও কোলাইসিন ইনজেকশন, আর্জেন্টিনার ভেরিজেস্ট্রল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যালাইন রিলিভ এনেমা এবং চার ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস ডিএইচএলের মাধ্যমে ওষুধগুলো দেশে এনেছে বলে দাবি করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আইনে অধিদপ্তরকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে ড্রাগ কোর্টে মামলা করা হবে। দুই-এক দিন পর মামলা করলে ‘মহাভারত অশুদ্ধ’ হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা কারণ দর্শানোর চিঠি দেবেন এস কে এন্টারপ্রাইজকে। এর আগে কখনো অভিযুক্ত কেউ পালিয়ে যায়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছর ৪১টি মামলা দায়ের করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। প্যারাসিটামল সিরাপে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ১৯৯১ সালে যে মামলা দায়ের হয় তার নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে ২৩ বছর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মাত্র ৩ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। যেসব ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয়, সেগুলো আমদানিনিষিদ্ধ।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক চিকিৎসকদের প্রতি পরামর্শপত্রে ফুড সাপ্লিমেন্টের নাম না লেখার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফুড সাপ্লিমেন্টের কোনো অনুমোদন নেই। তার পরও চিকিৎসকেরা ফুড সাপ্লিমেন্ট কেনাচ্ছেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছে অধিদপ্তর। তবু থামানো যাচ্ছে না।
অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে ৭৫ লাখ টাকার ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩২ পুরানা পল্টন থেকে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আমদানী নিষিদ্ধ এবং একই সাথে রেজিস্ট্রেশনহীন ওষুধ উদ্ধার করেছে। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা স্যালাইন রিলিভ এনেমা, ফুড সাপ্লিমেন্ট পাউডার গ্লুটাশিওর, ভারত থেকে আনা চার প্রকার ফুড সাপ্লিমেন্ট পাউডার হেপাপ্রো, স্পেন থেকে আনা ক্যাপস্যূল এমিক্যাপ, ইনজেকশন কোলাইসন, আর্জেন্টিনা থেকে আনা ইনজেকশন ট্যাবলেট ভেরিজেস্ট্রল, ক্যাপস্যুল হাইড্রোক্সি ইউরিয়া, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিউগাম।
অবৈধ এ ওষুধগুলো গত ১৮ ডিসেম্বর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আবুল খায়ের চৌধুরী সমন্বয়ে সহকারী পরিচালক মো: আকিব হোসেনের নেতৃত্বে উদ্ধার করা হলেও তা রোববার প্রকাশ করা হয়েছে।
ওষুধ উদ্ধারের ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন এমন কোনো ধরনের ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানী করা যাবেনা বলে আইন রয়েছে। তা সত্বেও কিছু কিছু ওষুধ আমদানীর অনুমোদন দেয়া হয় কিন্তু আমদানীর আগে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ওষুধ প্রশাসন থেকে। যেসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে এর কোনোটারই রেজিস্ট্রেশন ছিলনা। ফুড সাপ্লিমেন্টতো ওষুধ নয়, তাহলে আপনারা ফুড সাপ্লিমেন্টও কেন অবৈধ বলে নিয়ে আসলেন ? নয়া দিগন্তের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা ফার্মেসীগুলোকে ওষুধ বিক্রি করার লাইসেন্স দিয়েছি, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করার জন্য নয়।
– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTU1NjU=&sec=MTc=&t=%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%93%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0#sthash.jLsh85Ro.dpuf
অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে ৭৫ লাখ টাকার ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩২ পুরানা পল্টন থেকে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আমদানী নিষিদ্ধ এবং একই সাথে রেজিস্ট্রেশনহীন ওষুধ উদ্ধার করেছে। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা স্যালাইন রিলিভ এনেমা, ফুড সাপ্লিমেন্ট পাউডার গ্লুটাশিওর, ভারত থেকে আনা চার প্রকার ফুড সাপ্লিমেন্ট পাউডার হেপাপ্রো, স্পেন থেকে আনা ক্যাপস্যূল এমিক্যাপ, ইনজেকশন কোলাইসন, আর্জেন্টিনা থেকে আনা ইনজেকশন ট্যাবলেট ভেরিজেস্ট্রল, ক্যাপস্যুল হাইড্রোক্সি ইউরিয়া, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিউগাম।
অবৈধ এ ওষুধগুলো গত ১৮ ডিসেম্বর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আবুল খায়ের চৌধুরী সমন্বয়ে সহকারী পরিচালক মো: আকিব হোসেনের নেতৃত্বে উদ্ধার করা হলেও তা রোববার প্রকাশ করা হয়েছে।
ওষুধ উদ্ধারের ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন এমন কোনো ধরনের ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানী করা যাবেনা বলে আইন রয়েছে। তা সত্বেও কিছু কিছু ওষুধ আমদানীর অনুমোদন দেয়া হয় কিন্তু আমদানীর আগে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ওষুধ প্রশাসন থেকে। যেসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে এর কোনোটারই রেজিস্ট্রেশন ছিলনা। ফুড সাপ্লিমেন্টতো ওষুধ নয়, তাহলে আপনারা ফুড সাপ্লিমেন্টও কেন অবৈধ বলে নিয়ে আসলেন ? নয়া দিগন্তের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা ফার্মেসীগুলোকে ওষুধ বিক্রি করার লাইসেন্স দিয়েছি, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করার জন্য নয়।
– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTU1NjU=&sec=MTc=&t=%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%93%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0#sthash.jLsh85Ro.dpuf