এসপি বাবুলকে অব্যাহতি দেয়ায় প্রচন্ড নাখোশ শ্বশুর
ডেস্ক রিপের্টার : পুলিশ থেকে এসপি বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেযায় প্রচন্ড নাখোশ তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। আজ মঙ্গলবার রাতে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমে দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেছেন, এবার আইনের মাধ্যমে জিততে হবে।তিনি সংবাদ মাধ্যমটিকে আরো বলেছেন, সরকার যুদ্ধে জিতেছে, কতদূর জিতবে জানি না।
সরকার সরকারের কাছ করেছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তিনি বলেন, বাবুল আক্তার বাইরে রয়েছে। ওর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি একথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার ঘটনায় গত ২৪ জুন পুলিশ সদর দফতরে বিশেষ পরিস্থিতিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন বাবুল আক্তার। তবে সেসময় বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচিত হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
এরপর দীর্ঘ ছুটি শেষে বাবুল আক্তার পুলিশ সদর দফতরে এলেও চাকরিতে যোগ দিতে না পারায়, বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। ৪ আগস্ট বাবুল আক্তার পুলিশ সদর দফতরে কাজে যোগদানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। যেখানে এসপি বাবুল আক্তার বলেন, ‘দায়িত্বে পুনর্বহাল করতে চাই।’
তবে তখন পুলিশ সদর দফতর থেকে বলা হয়, ‘পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় তার চাকরিতে যোগদানের সুযোগ নেই।’ এরপর তিনি চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য গত ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরও লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদন পত্রে তিনি বলেন,‘গত ২৪ জুন পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে, বাধ্য হয়ে আমাকে চাকরির অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। স্বেচ্ছায় দাখিল করিনি।
এর আগে গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। তাকে কোথায় পদায়ন করা যায় কর্তৃপক্ষের এমন চিন্তাভাবনার মধ্যেই গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। স্ত্রী খুন হওয়ার দিন তিনি ঢাকাতেই ছিলেন।
তবে এ ঘটনার পর গত ২৪ জুন রাতে বাবুল আকতারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৬ ঘণ্টা পর তাকে ২৫ জুন সন্ধ্যায় বনশ্রীতে শ্বশুরের বাসায় আবার পৌঁছে দেওয়া হয়।