এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব
স্পোর্টস রিপোর্টার : ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সরে দাঁড়ানোর পর থেকে ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছিল সাকিব আল হাসানের কাঁধেই উঠতে যাচ্ছে কাপ্তানের ভার। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো, টেস্ট, টি-টোয়েন্টির পর বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ পোস্টার বয়। শুক্রবার (১১ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম নিশ্চিত করেছেন।
এর ফলে দীর্ঘ ঘোলাটে পরিস্থিতির পর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাকিবের নেতৃত্বেই মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৫০ ওভারের খেলায় ৫০টি ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২৩টি জয়ের পাশাপাশি ২৬টি হার রয়েছে তার অধিনায়কত্বে। সাফল্যের হার ৪৬ শতাংশ।
এর আগে, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফী ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কতৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।
এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ পোস্টার বয়। মাস কয়েক পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।