‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’
আসমা খন্দকার: শিগগির পর্দায় আসছে ‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’।এতে আছেন দিশা পাটানি। যিনি ধনির সাবেক প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন। ইনি নাকি টাইগার শ্রফের প্রাক্তন প্রেমিকা। ধোনির বায়োপিকে অভিনয় করছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। আর সেখানেই ধোনির প্রাক্তন বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন দিশা।
এত দিনে তাঁর অভিনয়ের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল বলেই মনে করছে বলিউডের একটা বড় অংশ। এর আগে তিনি দু’টো ছবিতে অভিনয় করলেও কোনওটাই মুক্তি পায়নি। শেষ পর্যন্ত ‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে অভিনয় করার জন্য তাঁকে বেছে নিয়েছেন পরিচালক নীরজ পান্ডে।
‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’
একটানা কাজের মাঝেও বাড়ির কথা মনে পড়ে সকলেরই। দূরের চাকরি হলে তো আর কথাই নেই। অবসর মিললেই সোজা বাড়ি। খড়্গপুর রেল স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের কাজের ব্যস্ততায় তেমন ফুরসত মেলে না। তবুও দূরপাল্লার ট্রেনে ডিউটিতে যাওয়ার আগে রাঁচির কথা মনে পড়ে টিকিট পরীক্ষক ‘ধোনি’র।
ট্রেনের হুইসল শুনেই ভাঙল ঘোরটা। তড়িঘড়ি ট্রেনে উঠে পড়লেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দিল ট্রেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (মাহি)র জীবনী নিয়ে সিনেমা ‘এম এস ধোনি- দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমায় ধোনির ভূমিকায় অভিনয় করছেন সুশান্ত। কর্মজীবনের একটা সময় খড়্গপুরে কাটিয়েছেন ধোনি। তাই রেলশহরে ধোনির জীবনের নানা মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করছেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে।
২০০১ সালে ‘স্পোর্টস কোটায়’ রেলে টিকিট পরীক্ষকের চাকরি নিয়ে খড়্গপুরে আসেন ধোনি। সেই সময় গোলখুলির রেল কোয়ার্টারে এক বছর ছিলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়ে মাহি খড়্গপুর ছাড়েন। গত অক্টোবরে খড়্গপুরের সেরসা স্টেডিয়াম, বাংলো সাইড, ধোবিঘাটে ক্যামেরাবন্দি হয় ছবির নানা সিকোয়েন্সের শ্যুটিং। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতেও হয় শ্যুটিং। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে খড়্গপুরে সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের শ্যুটিং। শুক্রবারও খড়্গপুরে রেল স্টেশনে চলে শ্যুটিং।
এ দিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। রোদের দেখা মেলেনি সারাদিন। এ দিন ছবির জন্য কৃত্রিম বৃষ্টির পরিবেশও তৈরি করা হয়। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় শ্যুটিং। চলে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। সিনেমার আর্ট ডিরেক্টর বৈষ্ণবী রেড্ডি বলেন, “খড়্গপুরে আরও একদিন শ্যুটিং চলবে। রেল স্টেশনেই সিনেমার আরও কয়েকটি দৃশ্যের শ্যুটিং হবে।”
শ্যুটিং ঘিরে এ দিন উন্মাদনা চোখে পড়ে রেল স্টেশনে। বাদ যাননি রেল কর্মীরাও। এ দিন হলদিয়ার ট্রেন ধরতে খড়্গপুর স্টেশনে আসেন সরকারি কর্মী বিনয়কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে হলদিয়ায় থাকি। তবে সামনে থেকে শ্যুটিং এই প্রথম দেখছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কৃত্রিম বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে কত কষ্ট করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সিনেমার একটি দৃশ্য হচ্ছে দেখে অবাক লাগছে।’’
ট্রেন ধরার আগে শ্যুটিং দেখে খুশি খড়্গপুর রেল ডিভিশনের ট্রেনের সহ-চালক দেবজ্যোতি কোনার। দেবজ্যোতিবাবু বলেন, ‘‘আমি বর্ধমানের বাসিন্দা। কয়েকদিন আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছি। সামনে থেকে সিনেমার শ্যুটিং দেখা এই প্রথম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আরও বেশি সময় প্ল্যাটফর্মে থাকতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু উপায় কোথায়!’’ শ্যুটিং দেখতে ভিড় জমায় অনেক কলেজ পড়ুয়াও।