এমসিসি ক্যাম্পে উচ্ছেদ প্রচেষ্ঠাকারী ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত দাবি বিবিআরএ’র
পল্লবী প্রতিনিধি : অবৈধভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন উচ্ছেদ প্রচেষ্ঠাকারী ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের তদন্ত দাবি করেছেন বাংলাদেশী বিহারী পুণর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ)। এই অশুভ চক্রটির সঙ্গে গনপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সুবিধাভোগীরাও জড়িত। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে থলের বেরিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এমসিসি বিহারী ক্যাম্প বাসিন্দারা।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন হতে বাংলাদেশী বিহারী পুণর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করায় সরকারের “উচ্চ মহলের নির্দেশে” সোমবার পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১/সি’র ১১নং রোডস্থ এমসিসি বিহারী ক্যাম্পের পূর্বনির্ধারিত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।
এতে ৭ শত বিহারী পরিবার সহ দেশের সকল বিহারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। পল্লবী’র ক্যাম্পগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে উচ্ছেদ নিয়ে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এদিকে দুপুরে এমসিসি বিহারী ক্যাম্পের সামনে এক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশী বিহারী পুণর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) পল্লবী থানা শাখা। পল্লবী থানার সভাপতি নাদিম আনসারি গুড্ড’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিবিআরএ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক নেয়াজ আহমদ খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিহারী ক্যাম্পের জায়গা অবৈধভাবে বরাদ্দকৃত সকল প্লটের বরাদ্দ অবিলম্বে বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। বরাদ্দকৃত প্লটগুলো ক্যাম্পের বিহারীদের নামে বরাদ্দের আহবান জানিয়েছেন বিবিআরএ প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
সভার বিশেষ অতিথি বিবিআরএ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ কাওসার পারভেজ ভুলু সরকারকে বিবিআরএ উত্থাপিত পূনর্বাসনের ৭ দফা দাবী অবিলম্বে মেনে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি বিহারী ক্যাম্পগুলোতে যারা মাদক ব্যবসা ও নানা প্রকার চাঁদাবাজিতে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন। বিহারী নেতা তার বক্তব্যে ক্যাম্প হতে রক্ত শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ রিলিফ কমিটি ও কমিউনিটি পুলিশ ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রিয়াজ উদ্দিন মুকুল, মোহাম্মদ কোরবান, মোঃ মানু, এনামুল হক ছেদি প্রমূখ।