এমপি শওকতের ঘুম হারাম
বিশেষ প্রতিনিধি : এমপি শওকতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে আদালত। নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য শওকত চৌধুরীকে ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। না দিলে তার জামিন বাতিল করা হবে। রোববার আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দু’টি মামলার বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে রবিবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে কমার্স ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। আর শওকত চৌধুরীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন। ২০১৬ সালের ৮ ও ১০ মে শওকত চৌধুরীসহ ব্যাংকটির ৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় দু’টি মামলা করে দুদক।
বাকি আসামিরা হলেন, ব্যাংকটির ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বংশাল শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুল গনি, চাকরিচ্যুত অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার শিরিন নিজামী, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইখতেখার হোসেন, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ বাউল, সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমানে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আসজাদুর রহমান।
বর্তমানে জামিনে আছেন এমপি শওকত। মামলার অপর আসামিরা গত বছর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।আবেদনে বলা হয়, প্রধান আসামি শওকত চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। তাই তারাও জামিন পেতে পারেন। এরপর গত বছরের ২৪ নভেম্বর জামিন বাতিলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন,এ রুলের শুনানি শেষে রবিবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আদেশ পাওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা জমা না দিলে শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হয়ে যাবে।